দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ এপ্রিল: রানা প্লাজা ধসের পর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা হওয়া ১০৫ কোটি টাকার হদিস চাইলেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।শনিবার রাজধানীর রিপোর্টাস ইউনিটিতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আয়োজিত রানা প্লাজা ধসের দুই বছর: জবাবদিহিতা কই? ক্ষতিপূরণ বিচার প্রক্রিয়া ও শ্রম আইন প্রসঙ্গ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আক্তার।আনু মোহাম্মদ বলেন, এই ঘটনার পর সরকারের মধ্যে একটা পরিবর্তন হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান সংগ্রহ করেছে। এর পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা।কিন্তু এই টাকার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আর কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এই টাকা সুদের কাজে ব্যবহার হচ্ছে নাকি নিজেদের কাজে ব্যবহার করছেন সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা নেই। কোন অধিকারে ১০৫ কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে প্রশ্ন রেখে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, এই টাকা যদি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দেয়া হতো তবে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেকে দশ লাখ টাকা করে পেতেন।
এছাড়া রানা প্লাজার ভবন ধসের জন্য তিনি ভবন ও কারখানা মালিক, বিজিএমইএ, আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও সরকারকে দায়ী করেন।বর্তমান শ্রম আইনে বিদ্যমান ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আনু মোহাম্মদ বলেন, আমাদের শ্রম আইনে হতাহতের ঘটনায় এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় এটা কিভাবে সম্ভব। সরকারের তো লজ্জা পাওয়া উচিৎ। সরকারের উচিৎ আইন পরিবর্তন করা।এছাড়া গার্মেন্টস শিল্পে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতালেরও দাবি জানান তিনি।আনু মোহাম্মদ বলেন, এই হাসপাতাল সরকারি তত্ত্বাবধানে চলবে কিন্তু খরচ বহন করবে কারখানা মালিকরা।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিখোঁজ পোশাক শ্রমিক খালেদা আক্তারের মা, মানবাধিকার কর্মী হামিদা ে হাসেন, আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট নেসার আহমেদ, অ্যাডভোকেট সেলিম খান, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল প্রমুখ।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সদস্য সচিব জুলহাস নাইম বাবু।