দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় নারী সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে ও ক্ষমা চেয়েছে বিএনপি। প্রতিকার করার সুযোগ না থাকায় বিএনপি নারীসমাজের কাছে ক্ষমা চায়।শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আসাদুজ্জামান রিপন ক্ষমা চান। তিনি এ ঘটনাকে জাতির জন্য লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেন। অবিলম্বে ধর্ষক ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনার দাবি জানায় বিএনপি।আসাদুজ্জামান রিপন বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় অপরাধীদের জনগণ তাৎক্ষণিকভাবে ধরে পুলিশকে দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ষক ও নিপীড়ককে যখন ছেড়ে দেওয়া হয় তখনই তাদের জোর বাড়ে। তিনি আরও বলেন, যখন একটি সমাজ গণতান্ত্রিকভাবে বিকশিত হয় না, শাসকদল জবাবদিহির ধার ধারে না তখন এ রকম নৈরাজ্যকর ঘটনা ঘটে।
পহেলা বৈশাখে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।তিনি বলেন, যতটুকু শুনেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনের ঘটনায় পুলিশ যাদের আটক করেছিলো পরে তাদের সরকার দলের সমর্থক হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
তিনি এও বলেন, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারাই তো গণতন্ত্রের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে জোর করে ক্ষমতায় এসেছেন। তারা তো নিজের বিচারই করতে পারে না, আবার অন্যের বিচার করবে কিভাবে।সরকার দলীয় এরকম জঘন্য ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান আসাদুজ্জামান রিপন।তিনি বলেন, বিএনপি এখন ক্ষমতায় নেই। বিএনপি যদি ক্ষমতায় থাকতো এ অপারধীদের অবিলেম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুানলের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হতো। এ সকল ঘটনায় তিনি দেশের নারী সমাজের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. সোজাউদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমার শামীম, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শাম্মী আক্তার প্রমুখ।