Vola-Lalmohon

দৈনিকবার্তা-ভোলা, ১৮ এপ্রিল: অবশেষে মামলার জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোলার লালমোহন পরাজগঞ্জ ইউনিয় পরিষদের পুণঃরায় নির্বাচন। নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ের লক্ষে প্রার্থীরা এখন প্রচার প্রচারোণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউ কেউ দলীয় উপর মহলের সাথে ধন্না দিচ্ছেন। এই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় বিরোদী দলীয় সমর্থিত ভোটারদের কাছে গিয়ে নানান কৌশল অবলম্বন করছেন দলীয় প্রার্থীরা। সরেজমিনি গিয়ে জানা যায়, র্দীঘ ৪ বছর পর আগামি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে পরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডে পুণঃরায় নির্বাচন। নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ে করতে প্রার্থীরা এখন ভোটাদের কাছে গিয়ে গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক, মিছিল-মিটিং করা সহ নানান প্রত্যাশার বাণী দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় ভোটাররা প্রার্থীদের সাথে নানান কৌশল অবলম্বন করছেন। এই ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নামে ১০ জন প্রার্থী থাকলেও মাঠে রয়েছেন মাত্র ৪ জন।

এরা হলেন, উপজেলা আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন মুরাদ (জাহাজ), ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্যাহ খোকন (দেওয়াল ঘড়ি), আ’লীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেন রিপন (গরুর গাড়ি) ও নব্য আ’লীগে যোগদানকারী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বশার সেলিম (আনারস) প্রতিক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘণিয়ে আসে প্রার্থীরা ও নিজের বিজয়ের জন্য সকাল থেকে শুরু করে রাত পযর্ন্ত মাঠ চসে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পযর্ন্ত জাহাজ প্রতিক নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক করে ব্যস্ত সময় পর করছেন চেয়াম্যান প্রার্থী মোঃ ফরহাদ হোসেন মুরাদ। তিনি জানান, ভোটারদের কাছে এসে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তিনি নির্বাচিত হলে, আগামি জুন মাসের মধ্যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, ইউনিয়নের সকল প্রকার উন্নয়ন সহ সব সময় সাধারণ জনগণের পাশে থাকবে বলে জানান। বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শত ভাগ আশাবাদী বলেও ব্যক্ত করেন ফরহাদ হোসেন মুরাদ। অপরদিকে বসে নেই ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজউল্যাহ খোকন (দেওয়াল ঘড়ি) ও আ’লীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেন রিপন (গরুর গাড়ি) প্রতিক নিয়ে মাঠ চসে বেড়াচ্ছেন।

তারাও নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের সকল প্রকার উন্নয়ন করবেন বলে ও আশস্ত করেছেন। এছাড়া প্রচারোণায় পিছেয়ে নেই নব্য আ’লীগে যোগদানকারী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল বশার সেলিম। তিনি ও আনারস প্রতিক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শত ভাগ আশাবাদী। নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাদ পরিবেশনের জন্য তিনি প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামানা করেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশা পাশি বসে নেই ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত পদের প্রার্থীরাও। এসকল প্রার্থীরা নিজেদের বিজয়ের জন্য সকাল থেকে শুরু করে রাত পযর্ন্ত ভোটারদের কাছে গিয়ে ব্যস্ত সময় পর করছেন। একাধিক ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ে করতে প্রার্থীরা এখন ভোটারদের কাছে এসে নানান প্রত্যাশার বাণী শুনাচ্ছেন। আবার অধিকাংশ ভোটাররাও সকল প্রার্থীদেরকেও অনায়াশে ভোট দিবেন বলে আশস্ত করে যাচ্ছেন। ভোটারেরা বলছেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা অনেক প্রত্যাশার বাণী দিয়ে যান, নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাই থাকেনা। আর ওই সকল প্রত্যাশার বাণী তাদের মনে ও থাকে না। তারা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে যার দ্বারা ইউনিয়নের উন্নয়ন ও সব সময় সাধারণ জনগণের পাশে থাকবে এমন নতুন প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩১ মার্চ ইউপি নির্বাচন চলাকালে এই ইউনিয়নের ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বশার সেলিম। দীর্ঘ ৪ বছর মামলা চলমান থাকা পর কিছুদিন আগে মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে চলতি মাসের ২০ শে এপ্রিল সোবমার এই দুই কন্দ্রে আবারো ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে উপজেলা নির্বাচন কমিশন। স্থগিত ৩ নং ওয়ার্ডে ২২৪৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে ১৮৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এই দুই ওয়ার্ডের ৪০৮৯ জন জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যে নির্বাচিত করবেন তাদের মনোনিত প্রার্থীদের।