দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ এপ্রিল: নতুন প্রজন্মকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম। সুষ্ঠুভাবে সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানান কামরুল।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে বঙ্গমাতা পরিষদ আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, যারা মুজিবনগরকে স্বীকার করতে চান না, তারা বাংলাদেশকে স্বীকার করেন না। সরকার বদল হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকও বদল হয়েছে। তাই নতুন প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারেনি। জানতে পারেনি একাত্তরের ঘাতক ও মুজিবনগর সম্পর্কেও।
কামরুল বলেন, বর্তমান সরকারের কারণে দেশের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। এর আগে এই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো হয়নি। তাদের পগু করে রাখা হয়েছিলো। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদাররা যে স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে, সে স্থানটি মুছে ফেলার জন্য সেখানে শিশুপার্ক তৈরি করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি এটা অন্য দিকে করতে পারতেন। তার উদ্দেশ্য ছিলো এই ঐতিহাসিক জায়গাটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম না জানুক। তিনি বলেন, ৭৫’র পরে জিয়াউর রহমানের সব ধরনের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে তিনি প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সিআই এজেন্ট।বর্তমান সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে কামরুল বলেন, রাজধানী ও চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। দেশের মানুষ চান একটি সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ। কিন্তু এই সুন্দর পরিবেশ দূষিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আনন্দপূর্ণ এই সিটি নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাঠে নামতে দেওয়া না হোক। কারণ তারা অনেক মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নির্বাচন কেন্দ্র করে মানুষ আর কোনো সংঘাত দেখতে চায় না।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংবিধান বিশেষজ্ঞ আমির উল ইসলাম বলেন, মুজিবনগর সরকার কোনো বিপ্লবী বা অস্থায়ী সরকার নয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম সরকার।সংগঠনটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য এম এ করিম প্রমুখ।