Logo_AL_BNP-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ এপ্রিল: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন করে মনোনয়ন দেয়া হলেও কোনোভাবেই বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে পারেনি ক্ষমতাসীনরা।প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের।বিদ্রোহীদেরকেউকেউ নিজেকে দলের সমর্থিত প্রার্থী বলে প্রচারণা করলেও অনেকে অবশ্য স্বতন্ত্র বলেই প্রার্থী হয়েছেন। তবে অনেকেই ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আওয়ামী লীগ।দলীয়ভাবে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও তিন সিটির ১৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৭টিতে রয়েছে ২৫৮ বিদ্রোহী প্রার্থী। কোনো কোনো ওয়ার্ডে রয়েছেন একাধিক বিদ্রোহী। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী না থাকায় ঢাকা দক্ষিণে উন্মুক্ত রয়েছে দুটি ওয়ার্ড। এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্ষমতাসীনদের একাধিক প্রার্থী।

অনুসন্ধানে জানা যায়,দলের ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ ও সুযোগসন্ধানীদের সমর্থন দেয়ার কারণেই মূলত এ বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং দলের নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কমিটি ও মহানগর কমিটির প্রভাবশালী সদস্যদের আশীর্বাদ না পাওয়ায় সমর্থন মেলেনি বিদ্রোহী নেতাদের। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ম্যানেজ করে কনিষ্ঠরা দলীয় সমর্থন আদায় করেছেন বলে অভিযোগ বিদ্রোহী নেতাদের। আবার এমন অভিযোগও রয়েছে, দলীয় সমর্থন পাওয়ার পরও বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন স্থানীয় এমপিসহ প্রভাবশালী নেতারা। ক্ষমতাসীনদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে বেশ ভালোভাইে কাজে লাগাচ্ছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। এ দ্বন্দ্বকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না সাধারণ ভোটাররা।ফলে এ মুহূর্তে অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তিন সিটিতেই কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা দলীয় নেতাকর্মীদের।

ক্ষমতাসীন দলের তিন সিটির প্রার্থিতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তরে ৩৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে ৭৯ বিদ্রোহী প্রার্থী, দক্ষিণে ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৭টিতে ৯৭ এবং চট্টগ্রামে ৪১টি ওয়ার্ডের ৩৬টিতে ৮২ বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে বলেন, সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষেকাজ করতে বলা হয়েছে। আমরা বুধবার রাতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি দু’দিনের মধ্যে বিদ্রোহীরা নির্বাচন থেকে সরে না আসে, তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হবে। তবে, যেসব ওয়ার্ডে বিএনপি প্রার্থী নেই এমন ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীরা ছাড় পেতে পারেন। আর যে ওয়ার্ডে বিএনপিসহঅন্য দলের শক্তিশালী প্রার্থী আছেন সেখানে বিদ্রোহীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। দলের নির্দেশনা পেয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

প্রার্থী বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা উত্তরে এক নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে আওয়ামী পরিবার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ছয়জন। ৩ নম্বরে দল সমর্থিত প্রার্থী কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন মামুন মজুমদার, মুজিবুর রহমান, আয়নাল হক, বাহাউদ্দিন বাহার ও রফিকুল ইসলাম জামিম। ৪ নম্বরে দল সমর্থিত জামাল মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কাজী আবুল হোসেন, মতিউর রহমান মাইকেল ও সামসুদ্দিন শেখ। দক্ষিণের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে রঞ্জন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জামাল উদ্দিন মো. আকবর বাবলা, মঞ্জুর হাসান রিন্টু ও মোল্লা জাহাঙ্গীর ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। এমনকি মাত্র দু’জন নারী সাধারণ ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেলেও তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহী টওার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা উত্তরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শিরিন রোকসানা এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদা বেগম কৃক। শিরিন রোকসানার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তিতু আর মাহমুদা বেগম কৃকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে প্রার্থী হয়েছেন রফিকুল ইসলাম, মতিউর রহমান মোল্লা ও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান স্বপন।

মিরপুরের স্থানীয় এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার এবং যুবলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে কাছে অভিযোগ করেন দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদা বেগম। তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমি কেন্দ্রে জানিয়েছি। এমন অবস্থা চললে আমার ভোটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।শুধু সাধারণ ওয়ার্ডে নয়, একই অবস্থা সংরক্ষিত মহিলা আসনেও। ঢাকা উত্তরের সংরক্ষিত মহিলা ৪ (সাধারণ ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত) নম্বর ওয়ার্ডে রাশিদা আক্তার ঝরনা দলের সমর্থন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী নিলুফার ইয়াসমিন। দক্ষিণের সংরক্ষিত মহিলা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে (সাধারণ ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত) আয়শা মোককরম দলের সমর্থন পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, লালবাগ থানার সভাপতি নূরজাহান খান।

যদিও একক প্রার্থিতা নিশ্চিতে করণীয় সবকিছুই করেছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিটি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কমিটির ে নেতারা এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। দলীয় সভানেত্রী নগরের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি থানা, ওয়ার্ড ও প্রার্থীদের নিয়ে একবার অনানুষ্ঠানিক এবং আরেকবার আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দফায় দফায় এ নিয়ে বর্ধিত সভা করে নেতাকর্মীদের একক প্রার্থী নিশ্চিতে দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ জানিয়ে দেন। নগরের শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন বারবার। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট নেতারা এবং ঢাকা মহানগরের শীর্ষ নেতারাও এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বারবার বৈঠক করেন। তারা ওয়ার্ড, থানার নেতা এবং প্রার্থীদের সঙ্গেও একাধিকবার বৈঠক করেন। সর্বশেষ উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারসংক্রান্ত নির্ধারিত আবেদন ফর্মে স্বাক্ষর নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুটি আলাদা বৈঠকে একই দিন একই সময়ে প্রার্থীদের ডেকে এ স্বাক্ষর নেয়া হয়। তবে অনেকে আগেই বুঝতে পেরে এ দুটি বৈঠকে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকেন এবং অনেকে উপস্থিত হয়েও স্বাক্ষর না করেই চলে যান। এতকিছুর পরও ঢাকায় প্রতি ওয়ার্ডে দু’জন ও চট্টগ্রামে প্রতি ওয়ার্ডে গড়ে তিনজন করে প্রার্থী হয়েছেন বলে অনানুষ্ঠানিক আলাপে আওয়ামী লীগের তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা এ প্রতিবেদককে জানান। তবে অতীতের চেয়ে এই পরিস্থিতিকেও ভালো বলছেন তারা। কেননা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে প্রতি ওয়ার্ডে সমর্থিত ও বিদ্রোহী মিলে গড়ে পাঁচজন করে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও এবার চট্টগ্রামে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থন নিয়ে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ।

বিষয়টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছে। নেতাকর্মীদের আশংকাকে অনুধাবন করে গত বুধবার রাতে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে নির্বাচিনসম্পর্কিত জরুরি বৈঠকে বসেন সিটি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নেতারা।দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাসায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের নানাভাবে ম্যানেজ করার। যদি থানা পর্যায়ের শীর্ষ পদের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী থাকেন তবে তা কেন্দ্রীয় নেতা, ওয়ার্ড পর্যায়ের শীর্ষ নেতা হলে থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট এমপি এবং সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে থাকলে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং ওই সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মাধ্যমে সেই প্রার্থীকে ম্যানেজের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের আলোকে বৃহস্পতিবার দলীয় সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে ডেকে কথাও বলা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, উত্তর ও দক্ষিণের অনেক ওয়ার্ডেই সমর্থিত প্রার্থীদের ছেড়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষেই নেমেছেন সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত প্রার্থী এমএ হামিদ খানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান।তার পক্ষে তার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমূল আলমসহ প্রায় সব নেতা মাঠে নেমেছেন। রীতিমতো সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ জায়গা এবং পরিবাগ নিয়ে গঠিত ওই ওয়ার্ডে । এমনকি নাজমুল ও যুগ্ম সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দেন। পাশাপাশি বুধবার দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন ছাত্রলীগের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গেলে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউকে সমর্থন না নিতে খোকনের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রার্থিতার বিষয়ে আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার সন্তান। ঢাবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাই চান এমন একজন এ এলাকার কমিশনার হোন, যিনি তাদের নিজেদের কেউ, যাকে তারা যে কোনো কথা অবলীলায় বলতে পারবেন আর সেটা বোঝার সামর্থও থাকবে সেই কমিশনারের। আর সে কারণেই তারা আমাকে নির্বাচন করতে বলেছেন, আমি নির্বাচন করছি। এছাড়া পাশ্ববর্তী শাহবাগ ও পরিবাগ এলাকার মানুষের কাছে আসাদুজ্জামান পরিচিত মুখ বলে উল্লেখ করেন। সরেজমিন দেখা যায়, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দৃশ্যত সমর্থিত প্রার্থী এমএ হামিদ খানের পাশে থাকলেও যারা প্রার্থী হতে চেয়েও পারেননি, তাদের অনেকেই রয়েছেন আসাদুজ্জামানের পক্ষে, কেউ দৃশ্যত, কেউ আড়ালে থেকে। এ অবস্থা দক্ষিণের আরও অনেক ওয়ার্ডে। কোথাও থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সমর্থিত প্রার্থীকে দৃশ্যত সমর্থন করলে তারা আড়ালে কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষেই, আর কোথাও তারা প্রকাশ্যেই বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে আছেন।

উত্তরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন সলিম উল্লাহ সলু। এখানে বিদ্রোহী তার আপন বড় বোনের স্বামী নুরুল ইসলাম রতন। তারা দু’জনই এর আগে একবার করে কমিশনার ছিলেন। রতন ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় দলের সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতেন আর পরেরবার আওয়ামী লীগ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করলে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতেন সলিম উল্লাহ সলু।

ওই ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি হলেও সলুর ওয়ার্ড বা থানা পর্যায়ে কোনো পদ নেই। তিনি দলের প্রাথমিক সদস্য। তার পক্ষে থানা ও ওয়ার্ড নেতারা কাজ করছেন। সলু যুগান্তরকে বলেন, দল তার অবস্থান ও অবদানকে মূল্যায়ন করে তাকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, তার পক্ষে থানা-ওয়ার্ডের নেতারা রয়েছেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ড ৩০-এ সমর্থন পেয়েছেন আরিফুর রহমান তুহিন। যেখানে বিদ্রোহ করে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাজী আবুল হাসেম হাসু ও সালাহ উদ্দিন। এ দু’জনের মধ্যে হাসু অনেক প্রবীণ আওয়ামী লীগার। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের অনুসারী।

এদিকে চট্টগ্রামে সিনিয়র নেতারা মেয়র পদে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করলেও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাড় দেননি। মূলত সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন এমপি, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং সংসদ সদস্য এমএ লতিফ সবাই যার যার মতো প্রার্থী দিয়েছেন। জানা যায়, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৪১টিতেই কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা। অনেক ওয়ার্ডে তার একাধিক অনুসারী প্রার্থীও রয়েছেন। আ জ ম নাছির অনুসারী প্রার্থী রয়েছেন ২৫টি ওয়ার্ডে। এমপি লতিফ অনুসারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে ১০ ওয়ার্ডে। আর ডা. আফছারুল আমীনের অনুসারী প্রার্থী রয়েছেন পাঁচ থেকে ছয়জন।

আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ নিজ দলের বিদ্রোহীরাই এখন তাদের গলার কাঁটা। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ওয়ার্ডের অলি-গলিতে রাতদিন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই। নির্বাচনী মাঠে ক্ষমতাসীনদের বিজয়ের ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে নিয়ে যতোটা না ভাবতে হচ্ছে তার ে চেয়ে বেশি ভাবনায় বিদ্রোহী প্রার্থী। অথচ মাঠে না থেকেও বিদ্রোহীদের কারণেই অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বিএনপির প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের দলীয় ভোট ভাগ হয়ে গেলে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজয়টা শুধু সময়ের ব্যাপার।

শুধু তাই নয়, কে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আর কে বিদ্রোহী, এ নিয়েও বিভ্রান্ত রয়েছে তৃণমূলে। আবার একাধিক ওয়ার্ডে সমঝোতা করা যায়নি দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে। তাই একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে না পারায় উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে কয়েকটি ওয়ার্ড। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকলে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীরাই বেশিরভাগ ওয়ার্ডে জয়ী হবে বলে ধারণা দলের নেতাকর্মীদের।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কিছু সংখ্যক কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র পেলেও বেশিরভাগই নির্বাচন করতে অনড় অবস্থানে। এমনকি বিদ্রোহীরা বলছেন- নির্বাচিত হতে তাদের দলীয় সমর্থনের প্রয়োজন নেই। আবার অনেকেই দলীয় সমর্থনও চাননি। এ বিষয়ে তাদের মত, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার এ সিদ্ধান্ত দলের বিপক্ষে অবস্থান নয়।

তারা দাবি করেন, দল যাকে সমর্থন দিয়েছে তারা এলাকায় বিতর্কিত এবং অজনপ্রিয়।সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এমন প্রার্থীকেও সমর্থন দেয়া হয়েছে। তারা নির্বাচন করলে বিএনপির টওার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশন:ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তত ৫০টির বেশি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য উত্তরের চেয়ে দক্ষিণে তুলনামূলক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সংখ্যা কম।ঢাকা দক্ষিণের ২নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ সভাপতি আনিসুর রহমান। কিন্তু এ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন দলের নেতা আব্দুল মান্নান মনা। একই অবস্থা ৫নং ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী তিনজন। তারা হচ্ছেন- মো. ইসমত তাকির, আজাদ মো. সাদেকুল ইসলাম ও ইসমাইল সরদার। ১২নং ওয়ার্ডে সমর্থন পেয়েছেন গোলাম আশরাফ তালুকদার। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন শেখ সেকান্দার আলী।১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ হামিদ খান। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। জনপ্রিয় এ ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অনেক নেতাও অবস্থান নিয়েছেন। ফলে আসাদ নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবেন না এমনটাই দাবি তার সমর্থকদের।

৪২ নম্বর ওয়ার্ডে সমর্থন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়ার মোহাম্মদ ইয়ারু। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন সূত্রাপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়সাল আহমেদ নাছির। তিনি বলেন, ইয়ারু বিএনপি না আওয়ামী লীগের প্রার্থী এটাই এলাকার মানুষ জানে না। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সবাই আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছে।২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গণি। তবে হাইকোর্টের রায়ের পর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাসিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান হুমায়ুন।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুস সুমন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন বাবলু।উত্তর সিটি করপোরেশন:উত্তরের ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডের ২৪টির বেশিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ডে ৭ থেকে ৮ জন পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গড়ে একেকটি ওয়ার্ডে ৩ থেকে ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। তবে এদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার হুঁশিয়ারী রয়েছে।

ঢাকা উত্তরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। কিন্তু এ ওয়ার্ডে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। তারা হচ্ছেন- মামুন মজুমদার, মুজিবুর রহমান, আয়নাল হক, বাহাউদ্দিন বাহার ও রফিকুল ইসলাম জামিম। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুর রউফ নান্নু সমর্থন পেলেও তার বিরুদ্ধে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন ও নূর ইসলাম খান খোকন।১০ নম্বর ওয়ার্ডে আবু তাহেরকে দলীয় সমর্থন দিলেও বিরোধিতা করে মাঠে আছেন আবুল খায়ের, এবিএম মাজহারুল আনাম ও মোহাম্মদ নাদির চৌধুরী। ১১ নম্বরে গাজী অলিয়ার রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন একেএম দেলোয়ার হোসেন, দেওয়ান আবদুল মান্নান, মীর জসীম উদ্দিন ও মামুন মিয়া শাহজাহান।

ঢাকা উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন ফোরকান হোসেন। কিন্তু বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছে সাতজন। এরা হচ্ছেন- এএইচএম কামরুজ্জামান,খোন্দকার রোমানা হাসান, গাজী ওবায়দুর রহমান নান্না, আনোয়ার হোসেন মিন্টু, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন জামশেদ, মোহাম্মদ শিবলী সাদেক ও সান্টু রহমান দুলাল।

৩২ নম্বরে হাবিবুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মাসুদ রানা শাহীন ও সৈয়দ সিরাজউদ্দীন। ৩৩ নম্বরে শেখ বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছেন চারজন। এরা হচ্ছেন- আবু সাঈদ বেপারী, একেএম অহিদুর রহমান, এমএ হালিম বাদশাহ ও তারেকুজ্জামান রাজিব।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অধিকাংশ ওয়ার্ডে আমাদের একক প্রার্থী রয়েছে। এখনো সময় রয়েছে, বাকি ওয়ার্ডগুলো নিয়েও আমরা সমঝোতার চেষ্টা করছি।

এদিকে, ৭টি বাম দলের জোট গণতান্ত্রিক বামমোর্চার অন্তর্ভুক্ত হলেও গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামছে না অন্য ৬টি সংগঠন। এমনকি গণতান্ত্রিক বামমোর্চার নেতারা বলছেন, তারা এই সিটি নির্বাচনে নেই। সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে বর্তমান ফ্যাসিবাদ সরকারকে বৈধতা দেওয়া। গণতান্ত্রিক পরিবেশেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।এ বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক বামমোর্চার অন্যতম শীর্ষনেতা সাইফুল হক বলেন, আমরা মোর্চার অন্তর্ভুক্ত দলসমূহ সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে নই। জোনায়েদ সাকি উনার দলের (গণসংহতি আন্দোলন) সমর্থনে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা মোর্চার নেতারা উনার পক্ষে কাজ করছি না।

সাইফুল হক বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা বসব। তখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ক বলেন, ‘২০১৩ সালে যখন সিটি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তখন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আমরা (সিপিবি-বাসদ) বামমোর্চা সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ম. ইনামুল হকের জন্য কোনো প্রার্থী দেইনি। উত্তরে আমাদের সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন ক্বাফী। কিন্তু এবার আমাদের কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে কেন, কার প্ররোচনায় জোনায়েদ সাকি মেয়র প্রার্থী হলেন, সেটা উনিই ভাল বলতে পারবেন।সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক বামমোর্চার শরিক দল বাসদ নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোর্চার সমন্বয়কারী মোশরেফা মিশু, কমিউনিস্ট লীগের নান্নু ( মোশাররফ হোসেন নান্নু) ভাই সবার সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা সবাই বলেছেন, তারা নির্বাচনে নেই। তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তাহলে কেন সাকি প্রার্থী হলেন? আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দিতে পারতাম।এ বিষয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন আমরা বাসদ-সিপিবিতো ঐক্যবদ্ধ। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে উত্তর ও দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু অন্যজোট বামমোর্চার নেতাদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গণসংহতি আন্দোলনের সাকি কেন নির্বাচন করছেন তা জানি না। এভাবে আলাদাভাবে নির্বাচন জনমনে বামদল সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

খালেকুজ্জামান বলেন, গণতান্ত্রিক বামমোর্চার নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা নির্বাচন করবেন না। কিন্তু মোর্চার শরিক দলই নির্বাচন করছে। এই সমস্যা তাদের।গণতান্ত্রিক বামমোর্চার শীর্ষ শরিক বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, গণতান্ত্রিক বামমোর্চা মনে করে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নয়। গণতান্ত্রিক পরিবেশেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। এ জন্য আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে নেই। কিন্তু আমাদের মোর্চার শরিক গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি (সাকি) মূলত বর্তমান পরিস্থিতি জাতির সামনে তুলে ধরার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

এতে করে গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের সম্পর্কে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে শুভ্রাংশু চক্রবর্তী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘না, ভাঙনের আশঙ্কা নেই। আমরা জাতীয় সমস্যা নিয়ে আগের মতোই জোটবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা সিটি নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট মতপার্থক্য নিয়েই এক সাথে থাকব।গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র প্রার্থী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ে মেয়র পদে বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ টেবিল, দক্ষিণ সিটিতে হাতী প্রতীকে সিপিবির আব্দুল্লাহিল ক্বাফী ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি টেলিস্কোপ প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন।