দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ এপ্রিল: বলেছেন, ‘আগামী ২৮ এপ্রিল হবে শেষ প্রতিরোধ। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমেই এই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে বাংলার মানুষের পরাজয় হবে। তাই ওই দিনই হবে আমাদের প্রতিরোধের শেষ দিন।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের তিন বছর পূর্ণ ও সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ নিখোঁজ নেতাদের অবিলস্বে ফেরত দেয়ার দাবিতে স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
খন্দকার মাহবুব বলেন, সুযোগ এসেছে জবাব দেয়ার। এখন থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। লগি- বৈঠার ইতিহাস দেশের মানুষ জানে। কিন্তু বিএনপি লগি-বৈঠার আন্দোলনে বিশ্বাস করে না। লাশের উপর নিত্য করে সরকার পতন করতে চাই না।সিটি নির্বাচন যেন ৫ জানুয়ারি মতো না হয় সেজন্য প্রতিটা পুলিং স্টেশনে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানান তিনি।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি সিটি করপোরেশনে ঘটলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান জালিম সরকার যত মানুষকে গুম-খুন, অপহরণ ও হত্যা করেছে তার জবাব একদিন অবশ্যই দিতে হবে। গণতন্ত্রের লেবাস পরে এই সরকার সব ধরনের অগণতান্ত্রিক কাজে লিপ্ত আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।তিনি বলেন,বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এর সঠিক বিচার না হলে আইনশৃংখলা বাহিনীসহ যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে একদিন জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে।সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
মাহবুব বলেন, নির্বাচনের নামে সোনার ছেলেরা ভোটকেন্দ্রে কী করবে তা, সারাদেশের মানুষকে দেখাতে টওত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।ভোটকেন্দ্রে কী কী হচ্ছে তা মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করতে নির্বাচন কমিশনের টওতি আহ্বান জানান মাহবুব। নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, মানুষ জেগে উঠেছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো নাটক করলে পরিণাম ভয়াবহ হবে। ২৮ এপ্রিল শেষ প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মাহবুব বলেন, ২৮ এটিওল একটি ভোটারকেও ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এদিন ভোটের মাধ্যমে জবাব হবে সরকারের বিরুদ্ধে শেষ প্রতিরোধ।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, টওধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছেন, অস্ত্র পকেটে রাখার জন্য দেওয়া হয়নি। অপরাধীর গুলি করতে হবে। সত্যিকার অপরাধী তো সোনার ছেলেরা। তাদের গ্রেফতার না করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার, গুলি, গুম, খুন, পগু করা হচ্ছে।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, মামলা হয় ৪ জনের বিরুদ্ধে। আসামি ধরে কয়েকশ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খাঁন, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, আবেদ উল্লাহ প্রমুখ।