নারী লাঞ্ছিতের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা অমার্জনীয় সুরঞ্জিত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৭এপ্রিল : পহেলা বৈশাখে সোহরাওয়ার্দীর গেটে নারীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে শুধু বিবৃতি দিয়ে বসে থাকলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আর এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাকেও অমার্জনীয় বলে উল্লেখ্য করেছেন সাবেক এ রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। ব্যবস্থার বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।সোহরাওয়ার্দীর ঘটনায় জাতি আজ লজ্জিত উল্লেখ করেন সুরঞ্জিত।

পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন আসামি ধরে হাতে ধরিয়ে দেয়ার পর আপনারা তাদের ছেড়ে দিলেন। আর মিডিয়াতে বলেন- নির্দেশনা নাই। এই অজুহাত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে সে যেই হোক, যারাই হোক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের নিরব বিপ্লব ঘটবেবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, এই নীরব বিপ্লবের আহ্বানে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, একদিকে বাবা- ছেলে একসঙ্গে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মিরক্কেল ঘটনার জন্ম দিয়েছে। অপরদিকে ৮ মামলার আসামিকে নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। সে ভোট করবে নাকি আদলতে যাবে। অদ্ভুত এক পরিবেশে ভোট হচ্ছে। যার আর মাত্র নয়দিন বাকি আছে।এসময় হরতাল-অবরোধে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, মানুষ খুনের জন্য খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। মনে রাখতে হবে বাঘে ধরলে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না। হরতাল-অবরোধে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।খালেদাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৩/৪ মাস পরে আবার নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন, তাই ধন্যবাদ। তবে ওই সময়ের মধ্যে আপনি ১৫৩ সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। এটার বিচার হবে। বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। মনে রাখতে হবে বাঘে ধরলে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না।

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের নিরব বিপ্লব ঘটবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন,ভোট তো হয় প্রকাশ্যে ও উৎসবের মাধ্যমে। এটা নীরব হবে কেন? ভোট সব সময় স্বরবে ও প্রকাশ্যে হয়। তার মানে খালেদা জিয়ার এখানো কোনো মতলব রয়েছে। এতে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে এটা নীরবে হবে কেন? আবার কি কোনো ষড়যন্ত্র আছে? এই নীরব বিপ্লবের আহ্বানে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, একদিকে বাবা- ছেলে একসঙ্গে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মিরক্কেল ঘটনার জন্ম দিয়েছে। অপরদিকে ৮ মামলার আসামিকে নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। সে ভোট করবে নাকি আদলতে যাবে। অদ্ভুত এক পরিবেশে ভোট হচ্ছে। যার আর মাত্র নয়দিন বাকি আছে।

নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি ডা. এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, সাম্যবাদি দলের নেতা হারুন চৌধুরী, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।