দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ এপ্রিল: রাজধানীর রামপুরায় ঝিলের ওপর গড়ে তোলা দ্বিতল টিনশেড ঘর দেবে নিহত ১২ জনের মৃতদেহ বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক।এরইমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে তল্লাশি ও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
এ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।বুধবার বিকালে রামপুরার হাজীপাড়া এলাকায় একটি দোতলা টিনশেড ঘর দেবে গিয়ে ১২ জন মারা যান। দোতলা টিনশেডটিতে মোট ২৮টি ঘরে লোকজন থাকত। এর মধ্যে নিচতলা ঝিলের কাদায় দেবে গেছে।ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজধানীর রামপুরার বৌবাজারের টিনশেড বাড়ি দেবে যাওয়ার ঘটনায় উদ্ধার কাজ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল ফজল মীর।
তিনি বলেন, সারাদিন ধরে উদ্ধার কাজ চলছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে। তবে উদ্ধার কাজ সীমিত করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। ফজল মীর জানান, প্রাথমিকভাবে জানা েেগছে জমির কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং কিছু অংশের মালিকানা রয়েছে গণপূর্ত বিভাগের।তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন অংশের মালিক কে?সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাধিক মালিকানা থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে জমি মালিকদের নাম বলা যাবে।
ওই বাড়ির বাসিন্দা শফিজলের দাবি অনুযায়ী তার ভাগ্নে রিপন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।এ বিষয়ে তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে যদি ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে তাকে উদ্ধার করা যাবে। গত বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঝিলের ওপর নির্মিত দোতলা টিনশেড ঘরটি দেবে গিয়ে একই পরিবারের ৩ জনসহ ১২ জন নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন।রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়া এলাকায় বৌবাজার মাটির মসজিদ সংলগ্ন বেগের বাড়ি ঝিলের (খাসজমি) ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল এই দোতলা টিনের ঘরটি। সেখানে ছিল ২৪টি কক্ষ। প্রায় ৩০ ফুট লম্বা বাশের সাঁকো পেরিয়ে যেতে হতো এই ঘরে।
অবৈধ ভাবে সরকারি জায়গায় দোতলা টং বাড়ি তৈরি করা এবং পরে সেই বাড়ি দেবে গিয়ে ১২ জন নিহতসহ আরও হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির হোসেন চৌধুরীর নামে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে।রামপুরা থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আলমগীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, টং বাড়ি নির্মাতা মনির হোসেনের নামে মামালা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১৯। মনির হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।