দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ এপ্রিল: গাড়ি পোড়ানোর চার মামলার মধ্যে এক মামলায় কারাবন্দি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামআলমগীরকেছয়মাসেরঅন্তর্ব্তীকালীনজামিনদিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি মো.নূরুজ্জামান ও জাফর আহমেদের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার পৃথক চারটি জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয়।আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদিন ও মাহবুবউদ্দিন খোকন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একে এম এহসানুর রহমান।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।আইনজীবী এহসান জানান, ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানাতে হাই কোর্ট রুল জারি করেছে।পাশাপাশি এ মামলাসহ নাশকতার চার মামলায় কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত।
ঢাকার জেলা প্রশাসককে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।নাশকতার এই চার মামলার তিনটিই পল্টন থানার। অপর মামলাটি মতিঝিল থানায় দায়ের করা হয়।৫ জানুয়ারির কর্মসূচি ঘিরে উত্তাপের মধ্যে দায়ের করা এসব মামলায় গাড়ি ভাংচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে ফখরুলের বিরুদ্ধে।এই চার মামলা ছাড়াও অন্য দুটি মামলায় ফখরুল হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেছেন বলে এহসানুর রহমান জানান।গত ৬ জানুয়ারি ফখরুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিচারিক আদালত এসব মামলায় জামিন চেয়ে বিফল হন। এরপর চলতি মাসেই চার মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন হাই কোর্টে জমা পড়ে।
পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো.নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।পরে আইনজীবীরা জানান,বিভিন্ন সময়ে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পুলিশ ফখরুলের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় চারটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে পল্টন থানায় দায়ের করা এক মামলায় হাইকোর্ট তাকে ছয় মাসের জামিন দেন। একইসঙ্গে মামলাগুলোতে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।