দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ এপ্রিল: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল।বৃহস্পতিবার ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে গিয়ে‘ওয়ান্টেড পারসনে’র তালিকায় আবদুল জব্বারের প্রোফাইল পাওয়া যায়। তবে কবে তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তা পাওয়া যায়নি।গত ২৪ ফেব্র“য়ারি মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জব্বারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বারে বিরুদ্ধে আনীত পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগের জন্য আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৪ নম্বর অভিযোগের জন্য ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। গত বছরের ১৪ আগস্ট জব্বারের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। এর আগে ১ মে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বছরের ১২ মে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় এরপর নিয়ম অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপরও ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় তাকে পলাতক ঘোষণা করে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। পলাতক জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল হাসানকে নিয়োগ দেয়া হয়।
জব্বারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, তিনি ১৯৫৬ সালে প্রকৌশল বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। পরে তার শ্বশুর ও তত্কালীন প্রভাবশালী মুসলিম লীগ নেতা আরশেদ আলীর প্রভাবে তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি শুরু করেন। জব্বার নিজে ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। জাতীয় পার্টির টিকিটে মঠবাড়িয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জব্বার সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।