the-beast

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি ভারত সফরে এনেছেন তাঁর বিখ্যাত লিমুজিন ‘দ্য বিস্টকে’। দ্য বিস্টের মতো বিশেষ ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি বিশেষ গাড়ি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। বারাক ওবামার এই গাড়িটি বিষয়ে বিস্তারিত এখানে তুলে ধরা হল: মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাড়ি‘দ্য বিস্ট’

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাহন যে গাড়িটি সে সম্পর্কে মোটামুটি সবাই জানেন। এটি একটি কালো ক্যাডিলাক গাড়ি। এই সুরক্ষিত ও বিলাসবহুল গাড়িটি শুধু বুলেটপ্রুফ বা গুলি প্রতিরোধীই নয়; মিসাইল কিংবা গ্রেনেডের আঘাতেও গাড়িটির আরোহীর কোনো ক্ষতি হবে না। শত্রুর হামলা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়াও এতে রয়েছে প্রতিপক্ষের পাল্টা জবাব দেওয়ার মতো আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এতে একই সঙ্গে আরামদায়কভাবে ভ্রমণের আয়োজনের পাশাপাশি রয়েছে আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা।

‘দ্য বিস্ট’ নামে সুপরিচিত এ গাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি যান। পদাধিকারবলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এখন ব্যবহার করছেন এটি। গাড়িটির কাচ এত পুরু যে রকেটচালিত গ্রেনেডও এটি ভেদ করতে পারবে না। গুলিপ্রতিরোধী দরজাগুলো ১০ ইঞ্চি পুরু। প্রয়োজনে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে এই গাড়িতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ঘণ্টায় ১০০ মাইল। গাড়ির চালক মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একজন সুপ্রশিক্ষিত গোয়েন্দা। এর চাকাগুলো এমনভাবে তৈরি যে বোমায় এর টায়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি চলবে।

সর্বাধুনিক যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে ওই গাড়িতে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে ওবামা গাড়ির পেছনের আসনে বসে তাঁর স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে নিমেষে তিনি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। গাড়িতে ওবামার জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে। ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য, ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতাসম্পন্ন গাড়িটির ওজন আট টন। এতে আছে বিশেষ অক্সিজেন ট্যাংকার। এ ছাড়াও নাইট ভিশন ক্যামেরা, শটগানের মতো আগ্নেয়াস্ত্র আছে এতে। এ ছাড়াও গাড়িতে রয়েছে এর আরোহীদের জন্য দরকারি রক্তের সরবরাহ।