দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ এপ্রিল: সাম্প্রদায়িকতার অন্ধকার প্রতিরোধ করার প্রত্যয় ও আহ্বান নিয়ে আজ রাজধানী ঢাকায় পয়লা বৈশাখ ১৪২২ উপলক্ষে বের হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক হিসেবে শোভাযাত্রায় ছিল প্রায় ২০ ফুট লম্বা একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত। হাত হচ্ছে দেশের শান্তিকামী মানুষ। আর হাতের একটি আঙুলে ছিল লাল রং। এই লাল রং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতীক।
বিশেষ কাঠামো হিসেবে রয়েছে, হাতের থাবা দিয়ে মানুষের গলা চেপে ধরা- এই প্রতীক দিয়ে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাবলি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান ছিল, ‘অনেক আলো জ্বালতে হবে মনের অন্ধকারে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে আজ সকাল ৯ টায় শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এর পর শোভাযাত্রাটি রূপসী বাংলার মোড় হয়ে ঘুরে আবার চারুকলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়, তোতাপাখি, হাট্টিমা টিম টিম, কাকাতুয়া, মাছ, বাঘ, পায়রা, হাতিসহ ১১টি বড় কাঠামো রয়েছে। সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে রয়েছে ছাগল ও দুটি ছানা। কলসি হাতে মা তার সন্তানকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন গ্রামীণ দৃশ্যও রয়েছে শোভাযাত্রায়।
এ ছাড়া রয়েছে মুখোশের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা রাজা-রানী, উজির-নাজির, বাঘ, পেঁচা, টেপা পুতুলসহ নানা আকৃতি ও বর্ণের প্ল্যাকার্ড। বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরু থেকেই চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।