দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ এপ্রিল: মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। এসো, এসো, এসো, হে বৈশাখ।’ সকল না পাওয়ার বেদনাকে ধুয়ে মুছে, আকাশÑবাতাস ও প্রকৃতিকে অগ্নিস্নানে সূচি করে তুলতেই আবার এসেছে পয়লা বৈশাখ। নতুন স্বপ্ন, উদ্যম ও প্রত্যাশার আলোয় রাঙানো নতুন বাংলা বছর মঙ্গলবার। স্বাগত ১৪২২।বৈশাখের নবপ্রভাতেই বাঙালির তাই কায়মনো প্রার্থনাÑযা কিছু ক্লেদাক্ত, গ্লানিময়, যা কিছু জীর্ণ বিশীর্ণ দীর্ণ, যা কিছু পুরনো- তা বৈশাখের রুদ্র দহনে পুড়ে হোক ছাই। গ্রীষ্মের এই তাপসÑনিশ্বাস বায়ে পুরনো বছরের সব নিষ্ফল সঞ্চয় উড়ে যাকÑদূরে যাক, যাক দূর-দিগন্তে মিলিয়ে।বর্ষবরণের উৎসবের আমেজে মুখরিত থাকবে কাল বাংলার চারদিক। গ্রীষ্মের অগ্নিজিহবাও কাল হয়তো বাতাসে লকলক করে নেচে উঠবে। অগ্নিবরণ নাগনাগিনীপুঞ্জও তাদের সঞ্চিত বিষ উগড়ে দিবে বাংলার ভূÑপ্রকৃতিতে। তারপরও বাঙালি এই খরতাপ উপেক্ষা করে মিলিত হবে তার সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসবে।দেশের প্রতিটি পথেÑঘাটে, মাঠেÑমেলায়, অনুষ্ঠানে থাকবে কোটি মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহবলতা। কারণ কাল বাঙালীর আনন্দের দিন, পয়লা বৈশাখ।
বাংলা নববর্ষে মহামিলনের এ আনন্দ উৎসব থেকেই বাঙালি ধর্মান্ধ অপশক্তির কূট ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করবার আর কুসংস্কার ও কুপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করবার অনুপ্রেরণা নেবে এবং হবে ঐক্যবদ্ধ। নতুন বছর মানেই এক নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশায় পথ চলা। বুকভরা তেমনি প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যমে ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি কাল আরো সোচ্চার হবে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে।নববর্ষকে সামনে রেখে এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বাসসকে বলেন, “নতুন বছরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারবো বলে আমার প্রত্যাশা। যার মধ্যে দিয়ে দেশে সহনশীলতা ও উদারতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।ইতিহাসবিদ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বৈশাখকে কেবল আনন্দের নয়, প্রতিবাদের মাস হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে যে সহিংস ঘটনাগুলো ঘটছে তা স্বাধীনতাবিরোধীদেরই কাজ। তাদের কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করতে হবে। বৈশাখ আমাদের সেই অপশক্তি রুখে দাঁড়াবার শক্তি যোগাবে।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এমন সময়ে এবার অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহাউৎসব এসেছে, যখন দেশে মানবতাবিরোধী তিন অপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে দু’জনের ফাঁসির রায় কার্যকর ও একজনের আমৃত্যু সাজা হয়েছে। তবে এই বিচার প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করতে এখনও দেশী-বিদেশী একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে চলেছে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে আরো সজাগ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার নববর্ষের প্রথম দিনে বদলে যাবে রাজধানী ঢাকার দৃশ্যপট। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলায় বর্ণবহুল হয়ে উঠবে নগরী। বরাবরের মতই ভোর সোয়া ছ’টায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানে ভোরের সূর তুলে শুরু হবে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা। এর সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডির লেকের পাড়, সংসদ ভবনসহ শেরেবাংলা নগর, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, অর্থাৎ এক কথায় পুরো রাজধানীই বৈশাখী আমেজে মেতে উঠবে। কাকডাকা ভোর থেকেই নগরীর পথে ঢল নামবে বাঙালি সংস্কৃতি লালনকারী আনন্দপিয়াসী নগরবাসীর। সবার পরনেই থাকবে বৈশাখী রং লালÑসাদার পাশাপাশি অন্যান্য রঙের বাহারি নকশার পোশাক।নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো এবং রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টে মঙ্গলবার। থাকবে ইলিশÑপান্তার আয়োজন।বাসাবাড়িতে তৈরি হবে বাঙালি খাবারÑইলিশ মাছভাজা,শুটকিÑবেগুনÑডালÑআলুÑকালিজিরাসহ নানা পদের ভর্তা। আবার অনেকের ঘরে সর্ষে ইলিশও থাকবে। কায়মনে বাঙালি হয়ে উঠার বাসনা ছাড়া সব কিছুই তুচ্ছ মনে হবে সকলের।জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই নয়, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে, সেখানেই বর্ণাঢ্য উৎসবের পালিত হবে পয়লা বৈশাখ।
নববর্ষ উপলক্ষে কাল সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় সংবাদপত্রগুলো বাংলা নববর্ষের বিশেষ দিক তুলে ধরে ক্রোড়পত্র বের করবে। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নববর্ষকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।বাংলা ১৪২১ সালকে বিদায় এবং নববর্ষ ১৪২২ বরণকে কেন্দ্রকরে তিন পার্বত্য জেলার আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা পালন করছে।নববর্ষের এই আনন্দঘন দিনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশবাসী বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ঐক্য ও সংহতি আরও সুদৃঢ় করবে এবং অফুরন্ত আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে বাংলা নববর্ষে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।নববর্ষের এই আনন্দঘন দিনে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ। শুভ নববর্ষ।রাষ্ট্রপতি বলেন, চৈত্রের অবসানে নতুনের বার্তা নিয়ে বাঙালির জীবনে বৈশাখের আগমনী সুর বেজে উঠে। সে সুর নতুনকে বরণ করার, পুরাতনকে পেছনে ফেলে নব উদ্যমে আগামীকে আবাহন করার। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।১৪২২ সন সকল জরা ও গ্লানি মুছে দিয়ে বাঙালির জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন।বাণীতে তিনি বলেন, আমি আশা করি, পহেলা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির এ চর্চা আমাদের জাতিসত্ত্বাকে আরও বিকশিত করবে।সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি যোগাবে। রাজনীতির নামে আগুনে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।
বাঙলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বাণী দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এসময় তিনি বলেছেন, এ বছরের এই দিনে আমি সকলের কল্যাণ কামনা করি, যদিও দেশবাসী একটি অনির্বাচিত সরকারের অপশাসনের যাতাকলে পিষ্ট।সোমবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষের সূচনায় আমি দেশ-বিদেশের সকল বাঙলাভাষী-বাংলাদেশীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।পৃথিবীর নানা জাতি- গোষ্ঠী নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতি অনুযায়ী তারা তাদের নববর্ষ উদযাপন করে থাকেন। তেমনি আমাদের কাছে পহেলা বৈশাখও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং বহুকাল ধরেই নতুন নতুন আঙ্গিকে, বর্ণ, বৈচিত্রে ও রুপে পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনে ফিরে আসে।খালেদা জিয়া বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষ আমাদের জাতিসত্ত্বার অন্যতম অহংকার। আমরা এই অহংকার আবহমানকাল ধরেই ধর্ম-বর্ণ-নৃ-গোষ্ঠী ভেদে লালন করে থাকি।তিনি আরো বলেন, বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন ও জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।এ বছরের এই দিনে আমি সকলের কল্যাণ কামনা করি, যদিও দেশবাসী একটি অনির্বাচিত সরকারের অপশাসনের যাতাকলে পিষ্ট।জোট নেত্রী বলেন, তবুও নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, এ প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, সবার জীবন হয়ে উঠুক সমৃদ্ধময়।
সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় নিক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহ’র কাছে কায়মনোবাক্যে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং জাতীয় সকল পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি।১৪২২ বাংলা সনের নতুন প্রভাতের প্রথম আলোতে আমি দেশবাসীকে আবারও জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বলে তিনি উল্লেখ করেন।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বাণীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, ১৪২২ সন দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের নিরবিচ্ছিন্ন ধারা।বাঙালীর এই প্রাণের উৎসবকে ঘিরে রমনা পার্কসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পুরোটাই ঢেকে দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা চাদরে। শুধু রাজধানী ঢাকাই নয় এ উপলক্ষে সারাদেশই নি”িছদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যৌথভাবে কাজ করছে সব সংস্থা।
সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে কন্ট্রোল রুম, অবজারভেশন পোষ্ট ও চেকপোষ্ট। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি থাকছে গোয়েন্দা দলের সদস্য, বোমা ডিসপোজাল টিম ও মেডিক্যাল টিম।বর্ষ আবাহনে মূল অনুষ্ঠানসমূহ:বর্ষবরণে রাজধানী জুড়ে থাকবে নানা আয়োজন। দিনের প্রথম প্রভাতেই রমনার বটমূলের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানট ভোরের সুর্যের আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ভোর সোয়া ছ’টায় শুরু করবে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ছায়ানটের দু’ঘন্টার আয়োজনে রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও, নজরুল, লালন, সলিল চৌধুরী ও রশিদউদ্দীনের গানের একক ও সম্মেলক পরিবেশনা ছাড়াও থাকবে পাঠ ও আবৃত্তির পরিবেশনা। শেষে দেশের সাম্প্রতিক সময় ও এর পরিবেশ তুলে ধরে বক্তৃতা দেবেন ছায়ানট সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে নয়টায় বের করবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে-‘অনেক আলো জ্বালতে হবে মনের অন্ধকারে’। এ প্রসঙ্গে চারুকলার ডিন শিল্পী নেসার আহমেদ বলেন, ধর্মান্ধরা আমাদের যেভাবে আঁকড়ে ধরছে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষদের মাঝে তার স্বরূপ তুলে ধরতেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় ২৫ ফুট উচু ‘হাতের পাঞ্জা’র একটি ভাস্কর্য ¯’ান পাচ্ছে। মৌলবাদী শক্তি যেভাবে অসাম্প্রদায়িক নিরীহ সাধারণ মানুষের গলা টিপে ধরছে, তা তুলে ধরা হয়েছে এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে।মঙ্গল শোভাযাত্রায় ২৮ ফুট উচু টেপা পুতুল থাকবে, যার এক কোলে কলসি ও অন্য কোলে দেখা যাবে এক শিশু।বর্ষবরণ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে কাল সকাল ৮টায় বর্ণাঢ্য র্যালি বের করবে, যাতে বাংলার লোকজ সংস্কৃতির নানা উপকরণ শোভা পাবে। এ র্যালিতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পয়লা বৈশাখের দিন বিকাল ৪টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে একক ও দলীয় লোকসঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন করবে। বাংলা একাডেমি সকাল ৮টায় একাডেমীর নজরুল মঞ্চে বর্ষবরণের সঙ্গীত দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ ও বাংলা অ্যালামনাই যৌথভাবে চৈত্র সংক্রান্তি-১৪২১ এবং বর্ষবরণ- ১৪২২ উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। চৈত্র সংক্রান্তি অনুষ্ঠান আজ সন্ধ্যা ৬টায় বাংলা বিভাগের করিডোরে এবং বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলাভবনের সম্মুখস্থ সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে।বর্ষবরণ উপলক্ষে চ্যানেল আই ও সুরের ধারা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে চতুর্থবারের মত আয়োজন করেছে হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এখানে মেলার আয়োজনও থাকবে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাপ্রাঙ্গণেবৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সকাল নয়টায় জাদুঘর প্রাঙ্গণে শিশুÑকিশোরদের আনন্দÑআয়োজনে নৃত্য, লোকগান ও বাউল গানের পরিবেশনা রেখেছে।জাতীয় প্রেসক্লাব বর্ষবরণে তাদের সদস্য ও পরিবারবর্গের জন্য সকাল থেকেই খৈ, মুড়িÑমুড়কি, বাতাসা ও ইলিশ খিচুরির আয়োজন রেখেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিও তাদের সদস্য ও পরিবারদের জন্যও প্রাত:রাশ, দুপুরের খাবার ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।