দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ এপ্রিল: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, রফতানি সম্প্রসারণের লক্ষে সরকার পণ্য ও বাজার বহমূখীকরণের কাজ করছে। ২০২১ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে সহজ লেনদেন পদ্ধতি ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো হবে। তিনি বৈদেশিক বাণিজ্যিক লেনদেন নিস্পত্তিতে এলসির পরিবর্তে বাংলাদেশে কিভাবে ওএটি পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে সুচিন্তিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহবান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্টারিং ফর ফরেন ট্রেড’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথিরি ভাষনে এ কথা বলেন। আইসিসি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী, ফ্যাক্টর চেইন ইন্টারন্যাশনালের (এফসিআই) চেয়ারম্যান ড্যানিলা বনজানিনী, লিগ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল লিব্লেন ও সেক্রেটারী জেনারেল পিটার মলরে, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ এ. রুমি আলী, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট বিদ্যুৎ কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্টারিং’ বা ওপেন একাউন্ট লেনদেন পদ্ধতি গ্রহণে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন,আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পন্নের ক্ষেত্রে ঋণপত্র খোলার (এলসি) পরিবর্তে ওপেন একাউন্ট লেনদেন (ওএটি) পদ্ধতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বেশি সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে। এতে ব্যবসায়ীদের বার বার যেমন এলসি খুলতে হবে না, তেমনি ব্যাংকের তারল্য সংকটও দেখা দেবে না। ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেন, ব্যয় সাশ্রয়ী বা তুলনামূলক সহজ এমন আর্থিক ও নন-আর্থিক সেবা প্রদানে কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক বিনিময় নীতি উদারীকরণে কাজ করে আসছে। এতে প্রমানিত হয় ওএটি পদ্ধতি গ্রহণে কেন্দ্রিয় ব্যাংক আগেই কাজ শুরু করেছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী বলেন, বিশ্বব্যাপী আমদানিকারকরা এখন এলসির পরিবর্তে ওএটি পদ্ধতি গ্রহণ করছে। কারন বড় বড় আমদানিকারকদের বার বার এলসি করতে হয়, এজন্য তাদের নিয়মিত ব্যাংকে যেতে হয় যা সময়সাপেক্ষ। অথচ ওএটি পদ্ধতিতে যতবার ইচ্ছা সহজে লেনদেন করা যায়।