দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১২ এপ্রিল: যানজট নিরসন,গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করা, দূষণমুক্ত বুড়িগঙ্গাসহ পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।রোববার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সহস্র নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন ইলিশ মাছ। গত শুক্রবার গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় থেকে এই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মার্চ একই কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাঈদ খোকন।আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুরনো ঢাকাকে স্বপ্নের ঢাকা হিসাবে গড়তে পাঁচটি ক্ষেত্রে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন।
সরু অলি-গলির পুরান ঢাকাসহ রাজধানীবাসীকে নিত্যদিন যানজটের যে বিড়ম্বনা পোহাতে হয় তা থেকে উত্তরণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।তার ইশতেহারের অগ্রাধিকারের অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দূষণমুক্ত, নাব্য ও নিরাপদ বুড়িগঙ্গা; পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা; পরিচ্ছন্ন, দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর মহানগরী গড়ে তোলা এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ও নাগরিকদের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা।
ইশতেহারে ‘ডিজিটাল মহানগরী গড়ে তোলা, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা, বস্তি উন্নয়ন ও দলিত-হরিজন সম্প্রদায়ের মানবিক মর্যাদা ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা, আবাসন সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ, ঐতিহ্য সংরক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া, ক্রীড়া ও চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা নেওয়া, কামরাঙ্গীরচরে নতুন তিন ওয়ার্ডে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, স্বাধীনভাবে সবার ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক নগর প্রশাসন গড়ে তোলারও প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন তিনি।এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে এক মেয়াদেই এই সব কাজ করা সম্ভব।নগরপিতা নয়, নির্বাচিত হলে ঢাকাবাসীর সন্তান হিসাবে কাজ করতে চান বলে জানান তিনি।এ সময় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সহস্র নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা মৃণাল কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।