unnamed

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১২ এপ্রিল: চার পেশাদার সিএনজি চোরকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ৷ গত ইং ১১/০৪/২০১৫ তারিখ ডিবি (দৰিণ) এর গাড়ী চুরি/ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম, রাজধানীর খিলৰেত এলাকা থেকে ৪ সিএনজি চোরকে গ্রেফতার করেছে৷ গ্রেফতারকৃতরা হলো ১৷ জাহিদ (২৫) ২৷ চক্রের মূলহোতা সেলিম (৩২) এবং তার অপর দুই সহযোগী ৩৷ নজরম্নল (২৮) এবং ৪৷ সোহেল (২৬)৷ তাদের হেফাজত হতে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং চুরি যাওয়া একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়৷

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, ১৫ জনের একটি চক্র বিভিন্ন গ্রম্নপে কাজ করে থাকে৷ ঐ গ্রম্নপের কিছু সদস্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শরবত বা চায়ের দোকান দিয়ে বসে৷ আরো কিছু সদস্য আশেপাশে ওঁত্‍ পেতে থাকে৷ কোন সিএনজি চালিত অটোরিঙ্া চালক সেখানে শরবত বা চা পান করতে গেলে সুকৌশলে শরবত বা চায়ের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়৷ পরবর্তী তাদের ২/৩ জন উক্ত সিএনজি চালিত অটোরিঙ্াটি ভাড়া করে৷ পিছন থেকে ২/৩ জনের আর একটি দল তাদেরকে অনুসরন করে৷ কিছুদুর যাওয়ার পরে ড্রাইভার নেশায় আক্রানত্ম হলে অনুসরনকারী দলের সদস্যরা সিএনজি চালিত অটোরিঙ্াটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং কোন সুবিধাজনক স্থানে ড্রাইভারকে ফেলে দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিঙ্াটি নিয়ে চলে যায়৷

তারা আরও জানায় যে, সিএনজি চালিত অটোরিঙ্া গায়ে লিখিত মালিকের নাম্বারে ফোন করে ৫০,০০০/- হতে ১,৫০,০০০/- টাকা পর্যনত্ম দাবী করে৷ কমপৰে ৫০,০০০/- টাকা দিতে রাজি হলে তারা বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলে৷ টাকা পেলে তারা সিএনজিটি কোথাও রেখে মালিককে উক্ত স্থান জানিয়ে দেয়৷ কখনও কখনও টাকা পেলেও তারা সিএনজি চালিত অটোরিঙ্াটি ফেরত দেয় না৷

তারা জানায়, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তাদের বিশেষ পরিকল্পনা আছে৷ এই উদ্দেশ্যে তারা তাদের চক্রের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে৷

মূলত সহজে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ সেলিম ইতিপূর্বে ৫ বার, নজরম্নল ৩ বার, জাহিদ ০১ বার এবং সোহেল ০১ বার বিভিন্ন সময়ে ডিবি/থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয় এমনকি ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃকও তার বিভিন্ন সময়ে দন্ডিত হয়৷ জামিনে বেরিয়ে এসে তারা একই পেশায় নিয়োজিত হয়৷

সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, গাড়ী চুরি/ ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম, গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (দৰিন) এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়৷ মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স ,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷