দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১২ এপ্রিল: গাজীপুরের কালীগঞ্জে রবিবার বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীতে বালিভর্তি ট্রলারের (বলগ্রেড) সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে একটি ট্রলার নদীতে ডুবে গেছে। এসময় যাত্রীদের অধিকাংশই সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে এলেও ট্রলারসহ ১৫/২০ যাত্রী সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়রা ট্রলারটি উদ্ধারে কাজ করছে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ও এলাকাবাসি জানায়, রবিবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার মূলগাঁও এলাকাস্থিত প্রাণ-আরএফএলের কারখানা ছুটি হয়। কারখানা ছুটি হওয়ার পর ৫০/৬০ জন শ্রমিক নিয়ে শ্রমিকবাহী একটি ট্রলার পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা এলাকার দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ছিল। পথে কালীগঞ্জ পৌরসভার মূলগাঁও এলাকায় বিকেল ৪টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা বালিভর্তি ট্রলারের (বলগ্রেড) সঙ্গে শ্রমিকবাহী ওই ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৩৫/৪০ জন যাত্রী সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে আসতে সক্ষম হলেও ১৫/২০ জন যাত্রী সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও পলাশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বালিভর্তি ট্রলারটি (বলগ্রেড) আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত শ্রমিক বোঝাইয়ের কারণে বালিভর্তি ট্রলারের সঙ্গে সামান্য সংঘর্ষেই শ্রমিকবাহী ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। প্রাণ-আরএফএল’র শ্রমিকবাহী ট্রলারটি প্রায়শঃ অতিরিক্ত শ্রমিক বোঝাই করে নদী পারাপার করে থাকে। এর আগেও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে প্রাণের কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার ডুবির ঘটনার পর পর প্রাণ-আরএফএল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উদ্ধারের তৎপরতা তেমনটি লক্ষ্য করা যায়নি।এ ব্যাপারে প্রাণ-আরএফএল কারখানা পরিচালক মো. ইলিয়াস মৃধা জানান, ট্রলার ডুবিতে কারখানার কোন শ্রমিক নিঁেখাজের ঘটনা নেই। শ্রমিকবাহী ট্রলারটি শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে গেলেও ট্রলারের সকল যাত্রী সাতরিয়ে তীরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান ও কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।