দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১২ এপ্রিল: ফ্যাসিবাদী সরকার যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় সেখানে জনগণের মূল্য নেই৷ জনগণের সকল দাবি তাদের কাছে পদদলিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ৷
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত গনতন্ত্র ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সহ সকল রাজবন্দীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তির দাবি এবং সুষ্ঠ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দাবিতে চিকিত্সক কর্মকর্তা কর্মজীবী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ৷এমাউদ্দীন বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে জনগণের কোন মূল্যে থাকে না৷ পৃথিবীর কোথাও ফ্যাসিবাদ আপনা আপনি সরেনি জনগণ তাদের কে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছে৷ ফ্যাসিবাদ সরানোর জন্য যন্ত্র ও অস্ত্র লাগে না, মানব লাগে৷
সিটি নির্বাচন সম্পর্কে মির্জা আব্বাস এর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের উদ্দেশ্যে প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, মা তুমি একা নও আমরা সবাই তোমার সাথে আছি৷ আমরা তোমার পাশে পাশে সব সময় থাকবো৷তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল আমরা নতুন একটি সৃষ্টি দেখতে চাই যার ভিত্তিতে আমাদের সামনের দিনগুলো আলোয় ঝলমোলে হয়ে উঠবে৷তরুণদের উদ্দেশ্যে এমাজউদ্দীন বলেন, আমরা যা করতে পারিনি তোমাদের সেটা করতে হবে৷ আর সিটি নির্বাচনে তার প্রমাণ তোমাদেরকেই দিতে হবে৷আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হলে জনগণ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জিতিয়ে সরকারের আচরণের উপযুক্ত জবাব েেদবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা৷
এসময় বক্তারা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনুরুদ্ধারসহ বিএনপি’র সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং সুষ্ঠু ও অবাধ সিটি নির্বাচনের দাবি জানান৷বক্তারা বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিন সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা বিজয় লাভ করে, বর্তমান সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সমুচিত জবাব দেবে৷
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে দু’টি অবৈধ নির্বাচন (১৯৭২ ও ০৫ জানুয়ারি, ২০১৪) হয়েছে৷ এ ধরনের নির্বাচন থেকে বিরত থাকুন৷বাংলাদেশ একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আরও মেরদণ্ড সোজা ও শক্ত করতে হবে৷ ইসি যদি ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, তাহলে জনগণ ক্ষমা করবে না৷সমপ্রতি যশোরে পুলিশের আইজিপির বক্তব্য ধরে বক্তারা বলেন, এতদিন বাংলাদেশ কাগজে-কলমে একটি পুলিশি রাষ্ট্র ছিল, এখন পুরোপুরি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে৷
সিটি নির্বাচন নিয়ে বক্তারা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে৷ এছাড়া অনেকে মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ প্রার্থীদের পুলিশি হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রচারণায় বাধা দেওয়া চলবে না৷ ইসিকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে৷এছাড়াও বক্তারা বিএনপি সমর্থিত তরুণ ভোটাদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান৷