দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ এপ্রিল: ঢাকা উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহী বি. চৌধুরী বলেছেন, আমি বিকল্প ধারার থেকে নয় তরুণদের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি। বিকল্প ধারা থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক সমর্থন আসেনি। ইনশাল্লাহ আসবে। না আসার কারণ নাই।শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনিসুল হক ও বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আনিস ভাই ও তাবিথের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তাবিথ আমার ছোট ভাইয়ের মতো।
ভোটে লড়তে বিএনপির সমর্থন চেয়ে না পাওয়া সম্পর্কে মাহী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থন চেয়েছি। তবে সমর্থন না আসার দিন এখনও শেষ হয়ে যায়নি।দুই জোটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা আর গুম কোনটিই এদেশের জনগণ সমর্থন করে না।
বিকল্পধারার এ নেতা বলেন, আমি বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করেছি। আমি দেখেছি, এখনকার ৬৫ পারসেন্ট ভোটারকে কেউ ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করতে পারবে না।নিজের নির্বাচনী প্রচারণা নান্দনিক ধারায় হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মাহী. বি. চৌধুরী গণমাধ্যমে সব প্রার্থীর সংবাদ সমানভাবে প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন। মাহী বিকাল সাড়ে তিনটায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যান এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমে সব প্রার্থীর সংবাদ সমানভাবে প্রচারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ছাড়াও তিনিসহ আরও মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। তাদের সবার নির্বাচনী প্রচারের সংবাদ গণমাধ্যমে সমানভাবে প্রচারিত হওয়া উচিত বলে মাহী দাবি করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন শুধু এককভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারবে না। গণমাধ্যমেও সব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সংবাদ সমানভাবে প্রচারের সুযোগ থাকতে হবে। না হলে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে যে, অন্য প্রার্থীরা আদৌ নিবাচনী দৌড়ে নেই। এ ছাড়া তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে সজাগ থাকার জন্যও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।বিকাল ৫টায় মাহী বি. চৌধুরী খিলকে।ষত তালেরটেক নামাপাড়ায় গণসংযোগ করেন এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে প্রজন্ম শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। পরে তিনি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনের সাথে তাদের অফিসে সৌজন্য সাক।ষাৎ করেন।