images10

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ এপ্রিল: পরিবর্তন সম্ভব, আমরা পরিবর্তন চাই-স্লোগান নিয়ে আগামীর ঢাকা গড়তে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করলেন আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী জোনায়েদ সাকি।শনিবার প্রেসক্লাবের ভিআইপি গ্যালারিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে শোনার জোনায়েদ সাকি।প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি এ ইশতেহারে উঠে এসেছে ঢাকাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার। গুরুত্ব পেয়েছে নাগরিক মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন গঠন, নগরের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা, নগর পরিবহনে নগরবাসীর ভোগান্তি কমানো, খাদ্যে ভেজাল ও বিষক্রিয়া রোধ, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে নানা জীবনমুখী পদক্ষেপের প্রতিশ্র“তি।

গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী সাকি বলেন, এই ঢাকা শহরের মানুষের জীবন ও সম্পদ, প্রকৃতি ও পরিবেশ যে বিপর্যয়ের মধ্যে আছে সে প্রেক্ষিতে আমরা সর্বত্র দেখছি পরিবর্তনের এক জাগরণী ডাক। মানুষ পরিবর্তন চায় এবং আমরা বিশ্বাস করি পরিবর্তন সম্ভব। মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য, মানুষের আকাঙ্ক্ষার সম্মিলন ঘটানোর জন্য আমরা এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীর ঢাকায় সকল নাগরিকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে, এ শহরকে নারী শিশু, তরুণ, প্রবীণের, অধিকাংশ খেটে খাওয়া মানুষের, সকলের করে তুলতে, উৎপাদনশীল নগরী করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন নতুন কল্পনা, নতুন রাজনীতির।আমরা বিশ্বাস করি ঢাকার নাগরিকরা বিশেষ করে তরুণরা নতুন রাজনীতির উদ্বোধন ঘটাতে এগিয়ে আসবেন।নারীদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি নগরে রূপান্তরের প্রতিশ্র“তিও দেন সাকি।তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক নগর প্রশাসন পরিচালনাই হবে আমাদের মূলনীতি।

নবীন এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ ও সুসমন্বিত কর্তৃপক্ষ ছাড়া ঢাকাকে বাসযোগ্য করা, সবগুলো পরিষেবা সুষ্ঠু প্রদান করা প্রায় অসম্ভব কাজ।আমাদের প্রথম ও প্রধান প্রস্তাব ঢাকা নগরের আওতার মাঝে সবগুলো সেবাপ্রদানকারী সংস্থাকে সমন্বিত করে একটি স্বশাসিত নগর সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

জোনায়েদ সাকি বলেন,ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের প্রধান কর্মশক্তি এর তরুণ জনগোষ্ঠী। ঢাকায় উৎপাদনশীলতা সর্বোচ্চ বিকাশের অনুকূল পরিবেশ গড়তে এই তরুণদের কর্ম উদ্দীপনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রযুক্তির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে। নারীদের জন্য রীতিমত শত্রুশিবিরে পরিণত হওয়া ঢাকা নগরীকে নারীদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ নগরে রূপান্তর করা হবে। নারীদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হবে। নারীদের জন্য পৃথক নগর পরিবহনের ব্যবস্থাসহ কর্মজীবী নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা নগর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে করা হবে। এমনকি একদিনের জন্য ঢাকা আসা নারীদের জন্যও নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।তিনি বলেন, শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে নগর সরকারের অগ্রাধিকার কর্মসূচি।