দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ এপ্রিল: পরিচ্ছন্ন, সবুজ, আলোকিত ও মানবিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক।শনিবার দুপুরে রাজধানীর খিলক্ষেতে লোটাস কামাল টাওয়ারে নিজস্ব নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন তিনি। ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী রাখতে ছয়টি মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।এগুলো হলো- পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব ঢাকা; নিরাপদ-স্বাস্থ্যকর ঢাকা; সচল ঢাকা; মানবিক উন্নয়নের ঢাকা; স্মার্ট ও ডিজিটাল ঢাকা এবং অংশগ্রহণমূলক ও সুশাসিত ঢাকা।
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা প্রধান সন্ময়ক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক,ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মান্নান কচি, এফবিসিসিআই সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, তারানা হালিম ও আসলামুল হক।আনিসুল হক বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয়কে দলীয় প্রভাব ও দুর্নীতিমুক্ত রাখা হবে।
এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের অর্ন্তভূক্ত ৫৬টি সেবা সংস্থাকে শক্তিশালী সমন্বয়ের মধ্যে আনা হবে।
তিনি বলেন, আইনে ২৮ ধরনের কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও মেয়রের আইনি কর্তৃত্বের অভাব আছে। অন্যদিকে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে মেয়রকে সরকারের ৫৬টি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়। সিটি কর্পোরেশন এবং এসব সংস্থা একসাথে কাজ করলেই কেবল সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব। দক্ষ সমন্বয়কের অভাব আছে এসব সংস্থাগুলোর মধ্যে। টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে সিটি নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে থাকা আনিসুল সিটি করপোরেশনের কাজে সমন্বয়হীনতার জন্য দক্ষ সমন্বয়কের অভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ঢাকার নাগরিকরা আমাকে নির্বাচিত করলে সংস্থাগুলোর মধ্যে সুষম সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা মহানগর উত্তরের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক তার জীবন থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজে লাগানোর প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য নির্দিষ্ট, পরিকল্পনা স্বচ্ছ, ভবিষ্যত উজ্জ্বল। জানি কিভাবে সকল প্রতিকূলতাকে পরাস্ত করতে হয় এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হয়। জীবন থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।আনিসুল হক বলেন, ঢাকার যে সমস্যা তা চিহ্নিত করে আমরা বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তুলবো। নগর বিনির্মাণে আমাদের দর্শন হচ্ছে গরিব, ধনী সকলের জন্য মানবিক এক ঢাকা। যেখানে নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে সবকিছুর ওপরে। মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত।নগর ভবন দলীয় কার্যালয় হবে নাএ অঙ্গীকার করে আনিসুল হক বলেন, সকল মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এটি পরিচালিত হবে।তিনি ৫ বছরের মধ্যে ঢাকা উত্তর নির্দিষ্ট একটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে নাগরিকদের সামনে দৃশ্যমান হবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন।বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার পড়তে শুরু করেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুল হক।