দৈনিকবার্তা-মংলা, ১০ এপ্রিল: সুন্দরবনের পশুর নদীর নন্দবালা এলাকা থেকে হরিণের মাংস, ফাদ ও ট্রলারসহ ৮ শিকারীকে আটক করেছে বনবিভাগ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বনপ্রাণী নিধন আইনে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জ’র (মংলা) সহকারী বন সংরক্ষক মো: বেলায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে বনের নন্দবালা এলাকায় অভিযান চালায় বন কর্মকর্তা ও প্রহরীরা। বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন ও মতিউর রহমানের নেতৃত্বে বনবিভাগের কয়েকটি টিম একই সাথে চারিদিক থেকে অভিযান চালিয়ে ২টি নৌকা ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলার দু’টিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দেড়-দুই কেজি রান্না করা হরিণের মাংস উদ্ধার করে অভিযানকারীরা। এ সময় ওই ট্রলার হতে ৯/১০টি হরিণ শিকারের ফাদ জব্দ করা হয়। কোন পাস পারমিট ছাড়াই অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে হরিণ শিকারের অভিযোগে ৮ শিকারীকে আটক করা হয়েছে। আটক শিকারী মহসিন শেখ(৪৫), ইয়াসিন শেখ(২৫), বাদশা শেখ(৪০), সাইফুল মল্লিক(৩০), ইব্রাহিম মল্লিক(৩০), হাসিবুর রহমান(৩২), রফিক শেখ(৩৬), শাহাদাৎ মোড়ল(৩৬) এর বাড়ী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী গ্রামে।
এদিকে, আবারো বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমা থেকে ২টি ট্রলারসহ ২৫ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌ বাহিনী। বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাছ শিকারের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। নৌ বাহিনী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল ভারতীয় জেলেরা। এ সময় ওই এলাকায় টহলরত নৌ বাহিনীর জাহাজ বিএনএস সুরমা ভারতীয় দু’টি ট্রলার আটক করে। ট্রলার দু’টির নাম হলো এফ,বি স্বরস্বতী ও গৌরী। ট্রলার দু’টিতে ২৫ ভারতীয় জেলে ছিল। এ সকল জেলেদের বাড়ী ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনার বিভিন্ন এলাকায়। আটক জেলেদেরকে শুক্রবার রাতে মংলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।