দৈনিকবার্তা- ঠাকুরগাঁও, ১০ এপ্রিল: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মোহাম্মদপুর ইউনিয়ের গিলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আইনুল হক কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অশ্লীনতাহানির অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি গ্রাম্য মাতাব্বররা ১ লাখ টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিন পূবে বিদ্যালয়ের এক ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে আসে। ওই সময় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হওয়ার সুযোগে বিদ্যাালয়ের সহকারী শিক্ষক- আইনুল হক ছাত্রীটিকে পাশের একটি রুমে ডেকে নিয়ে মোবাইলে নগ্ন ছবি দেখান। এতে প্রতিবাদ করে ছাত্রীটি বেরিয়ে আসার সময় শিক্ষক তার পথ রোধ করে, দরজা আটকিয়ে দেয় ও জাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে অন্যান শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে শিক্ষক আইনুল কৌশলে সটকে পড়ে। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে একটি মহল উঠে পড়ে লাগে। শুরু হয় দেন দরবার।
এলাকাবাসী সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে এ রকম ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।অভিযুক্ত শিক্ষক আইনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে বিপদে ফেলার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি জানান, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শিক্ষক কর্তৃক ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে।গিলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হুসেন জানান, ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে এখন লিখিত অভিযোগ দেয়নি বিদ্যালয়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনা গিলাবাড়ি এলাকার চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।