DoinikBarta_দৈনিকবার্তা086730

দৈনিকবার্তা-চরফ্যাশন, ০৯ এপ্রিল: দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ ও দক্ষিন আইচা থানার বিভিন্ন পয়েন্টে রাঘব বোয়ালের মত হাঁ করে থাকা মেঘনা নদীর কূল জুড়ে অবাধে চলছে বাগদা ও গলদা রেণু শিকার সহ বিকিকিনি। খুলনার পাইকগাছা থেকে পাইকাররা এসব এলাকায় দাদনের বেড়াজালে আড়ৎদারদের আটকিয়ে অবৈধ ভাবে জেলেদের মাছ শিকার করতে বাধ্য করছে। অপরদিকে জেলেরা আড়তদারের নিকট দাদনের বেড়াজালে আবদ্ধথাকায় তারাও বাধ্য হচ্ছে মশারি জাল দিয়ে বাগদা, গলদা রেনু শিকার করতে। যার ফলে নদীর কোটি কোটি সকল প্রকার মাছের রেনু / নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ মশারি জালে নির্বিচারে আটকিয়ে মারা যাচ্ছে ।

যার ফলে বিলুপ্তির পথে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বাগদা, গলদা নিধন রোধে উপজেলা মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নদীতে প্রতিনিয়ত কোষ্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করে বাগদা পোনা আটক করে অবমুক্ত করার পরও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের বাগদা,গলদা বিকিকিনি সহ পাইকগাছা পাচার করা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এতে মৎস্য রক্ষার বৃহৎ পদক্ষেপ ভেস্তে যেতে বসেছে। বিশেষ করে বাংলার চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য এই তিন মাস বাগদা ও গলদার ভরপুর মৌসুম। এসময়ে প্রাকৃতিকভাবে নদীগুলোতে উৎপন্ন হয় বাগদা, গলদা চিংড়ি সহ নানা প্রজাতির রেণু পোনা।চরফ্যাশন উপজেলা জুড়ে এ রেণুুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই অঞ্চলের বহু জেলে জাল নিয়ে মেঘনার মোহনায় নেমে পড়েন রেণু শিকারের উদ্দেশ্যে। জেলেরা জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে মশারী জাল, খুচি জাল সহ এ ধরনের বহু জাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগীতায় নেমে পড়েন । সরজমিনে পর্যবেক্ষন কালে দেখা যায় বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণুগুলো বাছাই করে এসব জেলেরা অন্য রেণুগুলো ফেলে দেয়। এর ফলে প্রতি দৈনিক মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি রেণু।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় চরফ্যাশনের বেতুয়া শশীভূষণ থানার আট-কপাট, পাঁচ-কপাট দক্ষিন আইচা থানার ঢালচর, চরকুকরি-মুকরি, চর পাতিলা, মুজিবনগর, বকসী ঘাট, কলমী ঘাট সহ মেঘনার বিভিন্ন স্থানে জেলেরা প্রতিদিন নদীতে এ বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু শিকার করে।এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য অফিসার আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের ফলে পুরোপুরি অভিযান চালানো সম্ভব হয়না। তারপরেও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।