দৈনিকবার্তা_DoinikBarta__Faridpur-Accident

দৈনিকবার্তা-ফরিদপুর, ৯ এপ্রিল: ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ১৯ জন, স্থানীয় ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেবার পর ৩ জন এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ৩ জন। আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৯ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেনসেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫ জনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার ২২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার একই পরিবারের আসমা বেগম, আমেনা আক্তার ও শাহীন।পটুয়াখালীর সোহাগ, রাসেল, শাহরিয়ার, রেজাউল ইসলাম, সূর্য্য বেগম, হেলাল, গোপালগঞ্জের শফিকুল ইসলাম।

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গঠিত ৫ সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা কমিটিতে থাকবেন।এই কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এছাড়া ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গভীর শোক জানিয়েছেন। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।

বুধবার দিনগত ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবী এলাকায় সোনারতরী পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা- মেট্রো. ব ১৪৭০৭৪) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ২৫ জন মারা যান।ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, নিহত ২৫ জনের মধ্যে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় ২২ জনের মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে ১৯জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের মরদেহ রাখা হয়েছে থানায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করা হবে।সন্ধ্যার মধ্যে কেউ না এলে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত ২১ জনের মধ্যে যে তিনজন মারা গেছেন তাদের এখনও কোনো পরিচয় মেলেনি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ।এ দুর্ঘটনায় আহত ১৮জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলেও জানান ডা. গণপতি।দুর্ঘটনার পর ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রশিদকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, ফরিদপুরের ভাংগা সার্কেল সামসুল হক পিপিএম, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক খন্দকার সামুসুদ্দোহা, বিআরটিএর ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান এবং হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন। কমিটিকে আগামী ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য সকল ব্যয়ভার গ্রহন করা এবং নিহতদের পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকার সাহায্য প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী।এদিকে,ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে আশংকাজনক থাকায় ৫ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে আহতদের সু-চিকিৎসার প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।নিহতদের মধ্যে ভাংগা হাইওয়ে থানায় ১৯টি, ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ৩ জনের লাশ রয়েছে।এদের মধ্যে মারাত্বক ভাবে আহত ৭জনসহ ২২জনকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের সদরদী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, পটুয়াখালীর শাহিন, আসমা বেগম, শাহারিয়ার, রেজাউল করিম ও গোপালগঞ্জের শফিকুল ইসলাম।

ভাংগা হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ হোসেন সরদার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী সোনারতরী নামের যাত্রীবাহী দ্রুতগামী বাসটি ঘটনানস্থলে রাস্তার পাশে বড় একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় ২০জন। হাসপাতালে নেবার পর মারা যায় আরো ৫জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘনাস্থলে ছুটে যান। তারা উদ্ধার তৎপরতা চালান। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।দুঘটনাস্থলের কাছে থাকা মহাসড়কে ডিউটিরত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্য সাইদুর রহমান ও স্বপন হাওলাদার জানান, দ্রুতবেগে গাড়ীটি গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দু ভাগ হয়ে যায়।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক খন্দকার সামচুদ্দোহা জানিয়েছেন, গাছের সাথে ধাক্কা লাগায় বাসের বেশীর ভাগ অংশই দু ভাগ হয়ে পড়ে। বাসের যাত্রীরা ঘুমের মধ্যে থাকায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির যাত্রী পটুয়াখালীর আইয়ুব জানান, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহসড়কে দু ঘন্টা ব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। ফরিদপুর থেকে একটি রেকার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গঠিত ৫ সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা কমিটিতে থাকবেন।এই কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এছাড়া ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রশিদকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের একটি কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী জানান।বুধবার গভীর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা েেখলে ২৫ যাত্রী নিহত হন, আহত হন আরও বেশ কয়েকজন সোনারতরী পরিবহনের বাসটি রাতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে যাচ্ছিল।

দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।মন্ত্রী দুর্ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গঠিত ৫ সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা কমিটিতে থাকবেন।এই কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এছাড়া ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রশিদকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের একটি কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী জানান।

কলাপাড়ায় প্রাণ গেল আট জনের: উপার্জনোক্ষম একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর খবরে বৃদ্ধা মা আলেয়া বেগমের আহাজারিতে লোন্দা গ্রামের পরিবেশ ভারি হয়ে আছে। সন্তান রিপন উকিল (২৫) তরমুজ বিক্রি করতে ঢাকায় গিয়েছিল। ফিরছে লাশ হয়ে। বৃদ্ধা এ মহিলাকে শান্তনা দেয়ার মতো ভাষাও হারিয়ে ফেলেছে আশপাশের মানুষ। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান এমপি প্রত্যেক মৃত ব্যক্তিকে সরকারিভাবে প্রদান করা ১৫ হাজার টাকা প্রদানকালে এ মহিলার আহাজারিতে সকলের চোখ ভারি হয়ে ওঠে। সান্তনা দেয়ার ভাষাও কারও ছিল না। একই অবস্থা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মালার।

ছোট্ট বোন পঞ্চম শ্রেণির আকলিমা ও বড় বোন জামাই সখিনা বেগমের স্বামী হেলাল ফকিরের(২৭) মৃত্যুর খবরে নির্বাক হয়ে গেছে। ছোট বোনের বই ও ছবি কোলে নিয়ে নিথর হয়ে বসে আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে এসব দৃশ্য। যে বোনকে প্রতিদিন মালা স্কুলে যাওয়ার সহায়তা করত। আর আজ বাড়ির সামনে খাটিয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে মৃতদেহ কবরে নেয়ার জন্য। লালুয়ার মঞ্জুপাড়া গ্রামে মালার বাড়ি। বৃহস্পতিবার তার পরীক্ষা ছিল। দেয়া হয় নি। বাবা-মা, বড় বোন, বোন জামাই, বোনের মেয়েসহ সাতজনে গেল বৃহস্পতিবার ঢাকায় খালার বাড়ি মোহাম্মদপুরে বেড়াতে যায়। আটদিন পরে ফিরেছে তারা। তবে দু’জনের মৃতদেহ নিয়ে। বোন সখিনারও দুই হাত ভেঙ্গে গেছে। ভাগ্যক্রমে বেচে গেছে।

পাঁচ বোন এক ভাইয়ের সংসারে এখন বইছে শোকের কালো ছায়া। বাড়ি সংলগ্ন রহিম উদ্দিন বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষার্থীরা আকলিমার মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক স্কুল ছুটি দিয়ে দোয়া-মোনাজাতের ব্যবস্থা করেছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তারিক খান জানালেন, শত কষ্টের মধ্যের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভুলতেন না আকলিমার বাবা। পথিমধ্যে ফেরার পথে দেখা গেল হাচনাপাড়া গ্রামে বেড়িবাঁধের বাইরের স্লোপে কবর করা হচ্ছে আরেক হতভাগী নিতান্ত দরিদ্র একই বাস দুর্ঘটনায় নিহত সূর্যভানুর মৃতদেহ দাফনের জন্য। স্থানীয় ইব্রাহিম মিয়া জানালেন, বৃদ্ধ অচল স্বামী দলিল উদ্দিন ছাড়া ইহলোকে সুর্যভাণুর আর কেউ ছিল না। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে কলাপাড়া আসার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় কলাপাড়ার আট জনের মৃত্যু ঘটে।

বর্তমানে এ গ্রামগুলোয় বইছে শোকাবহ অবস্থা। সর্বত্র চলছে দুর্ঘটনার আলোচনা। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, উপরোক্ত চারজন ছাড়াও চান্দুপাড়া গ্রামের নাজেম আলীর ছেলে আবুবকর (১৯), পশ্চিম মধুখালী গ্রামের সেলিম শিকদারের ছেলে শাহিন ওরফে শাহজালাল (২৫), তেগাছিয়া গ্রামের নাসির মুন্সির ছেলে মাহমুদুল হাসান মিঠু (২৩), গামইরতলা গ্রামের সালাম হাওলাদারের স্ত্রী আসমা বেগম (২৮)। বর্তমানে এসব পরিবারে বইছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফনসহ অন্যান্য সহায়তার জন্য বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় সরকারিভাবে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এসব পরিবারের সদস্যদের সরকারিভাবে সহায়তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে। মোট একই সঙ্গে এতো মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় কলাপাড়ার সর্বত্র বইছে আলোচনার ঝড়।