দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ৯ এপ্রিল: বাস ও মাহেন্দ্র শ্রমিক সংগঠনের দ্বন্দ্বের জের ধরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে এক পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে ঘোনাপাড়া মোড়ে দোকান ও বাড়ীতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি চার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বয়রা ও ঘোনাপাড়া এলাকায় এসব এ ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মোঃ সেলিম রেজা জানিয়েছেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইন শৃংখলা মিটিংয়ে যোগ দিতে আসছিলেন। ঘটনাস্থলে গাড়ি পৌঁছালে গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির শ্রমিকরা তার সরকারি গাড়িটির গতিরোধ করে ও হামলা চালায়। এতে তার গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এসময় ভাঙ্গা কাঁচের টুকরা শরীরের লাগলে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা ও তার ড্রাইভার নান্টু সিকদার (৩২) আহত হন।
পরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কয়েক হাজার লোক বিভিন্ন্ যানবাহনে করে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে এসে আবস্থান নিয়ে ২৫টি দোকান ও বাড়ীতে ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। এসময় টুঙ্গিপাড়াগামী একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় এক পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উভয় উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খালেকের বাজার ও সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টুঙ্গীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তাফা জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা আইন শংখৃলা কমিটির সভায় যোগ দিতে গোপালগঞ্জ আসছিলাম।টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।প্রসঙ্গত, যাত্রী উঠানো নিয়ে বাস শ্রমিক ও মাহেন্দ্র চালকদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে কয়েকবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে পরিবহন ধর্মঘট চলছে।