দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ এপ্রিল: ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে এর ওপর মুনাফা কমানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।অর্থমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ক্ষুদ্রঋণ গ্রাম ও শহরের নারীদের স্বাবলম্বী করতে দারুণ ভূমিকা রাখছে।বুধবার সকালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ) অডিটোরিয়ামে ‘ প্রোমোটিং মাইক্রো ফাইন্যান্স ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ইন আইওআরএ রিজন শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসং¯’ান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্রঋণ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আগামীতে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণে পল্লী কর্ম-সাহয়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।এ সময় ড. মোহাম্মদ ইউনুসের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ড. ইউনুস হলেন ক্ষুদ্রঋণের স্থপতি।এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী খলিকুজ্জামান।
ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পিকেএসএফ যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করেছে। আইওআরএ’র ২০টি সদস্য দেশের মধ্যে ১২টি দেশ এ কর্মশালায় অংশ নিয়েছে।বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর পিকেএসএফ ভবনে দু’দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।পিকেএসএফ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়ান ওশ্যান রিম এসোসিয়েশন (আইওআরএ) যৌথভাবে ‘আইওআরএ অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণের প্রসার’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে।পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সং¯’ার চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও আইওআরএ সচিবালয়ের পরিচালক ফেরদৌস ডাহলান বক্তব্য রাখেন।অর্থমন্ত্রী বলেন,‘ড. ইউনুস বাংলাদেশে নতুন আঙ্গিকে ক্ষুদ্রঋণ চালু করলেও ক্ষুদ্রঋণ প্রসারে পিকেএসএফ বড় অবদান রেখেছে। ক্ষুদ্রঋণের আদর্শ পদ্ধতি অনুসরণে এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এ বিষয়ে অধিকতর গবেষণার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, কেবলমাত্র ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে দারিদ্র বিমোচন করা যাবে না। এর জন্য ক্ষুদ্রঋনের সাথে অন্য আবশ্যকীয় সেবা প্রদান করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত না করলে কেবলমাত্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র দূর করা যাবে না।তিনি সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত এক গবেষণা জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলেন, গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী মাত্র ৯ দশমিক ৪ শতাংশ গ্রাহক দারিদ্রসীমার ওপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে অথনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আবশ্যকীয় সেবাসমূহ প্রদান করতে হবে।আইওআরএ পরিচালক ফেরদৌস ডাহলান তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ক্ষুদ্রঋণের রোল মডেল বলে অভিহিত করেন।