DoinikBarta_দৈনিকবার্তা rangpur-d_20616

দৈনিকবার্তা- রংপুর, ০৭ এপ্রিল: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গর্ভমেন্ট রিলিফ (জিআর) বিশেষ বরাদ্দ’র আওতায় ২৫টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ২ মেঃ টন করে মোট ৫০ মেঃ টন চাল আতœসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, ১৪-১৫ অর্থ বছরে হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য বিশেষ বরাদ্দ গর্ভমেন্ট রিলিফ (জিআর)’র ২ মেঃ টন করে ২৫ টি প্রকল্পে মোট ৫০ মেঃটন চাল বরাদ্দ করা হয়। তার তালিকায় নাম আসে উপজেলার মোট ২৫ এতিমখানার, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও বরাদ্দকৃত চাল বা অর্থ কোনটাই জোটেনি তাদের তহবিলে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২৫ টি প্রকল্পে যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের কেউই প্রতিষ্ঠানে সাথে জড়িত না। অর্থাৎ এই নামে কোন লোককে তারা চেনেন না। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে যে ২ মেঃ টন করে চাল অনুদান দেয়া হয়েছে সেটিও জানেন না, এমনটি জানা গেল প্রতিটি প্রকল্প ঘুরে । কয়েক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে কথা হলে তারা জানান- আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম জড়িয়ে ভুয়াঁ তালিকা প্রণয়ন করান হয়েছে। এতে প্রকল্প চেয়ারম্যানের নাম সাজানো হয়েছে, এই বরাদ্দের সমপূর্ণ টাকা আতœসাৎ করা হয়েছে।

নগর কাঁঠগড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাধঃ সম্পাদক, আজাদ মিয়া জানান- শুনেছি ২ মেঃ টন চাল দেয়া হয়েছিল, কিন্তু আমরা ১ কেজিও পাইনি । তবে প্রকল্পের সভাপতি যাকে দেখনো হয়েছে সেই নামে আমার এলাকায় কেউ থাকে না। বামনডাঙ্গা সদন শিশু এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার সম্পাদক, মাহবুরুর রহমান খাঁন বলেন- প্রকল্প বরাদ্দ’র ৯ মাস হলেও আমরা কোন অনুদান পাইনি, শুনেছি আমার মাদ্রাসাসহ ২৫ টি হাফিজিয়া মাদ্রাসার নামে ৫০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ ছিলো কেউ এখনও তা পায়নি সম্পূর্ণ চাল হরিলুট করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আব্দুল হাই মিল্টন বলেন- আমি গত মাসে যোগ দিয়েছি বিষয়টি জানা নাই। তবে অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পিআইও নুরুন্নবী সরকার জানান, আমার আগের পিআইও এটা করতে পারেন কিন্তু আমার জানা নাই। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ আগষ্ট উক্ত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এতিমখানার সভাপতিরা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করবেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের সাথে যোগাযগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন কেটে দেন।