দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ০৭ এপ্রিল: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যাদের বিচার কার্যক্রম চলছে শুধুু তাদের নয়, দেশে আরো যারা যুদ্ধাপরাধী রয়েছে তাদের বিচারও করা হবে।তিনি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের শাস্তি আপিল বিভাগে বহাল রাখায় জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি নেয়া হয়।জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ।সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের শাস্তি প্রদান করেছে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং শাস্তি বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ রায়ের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই।তিনি বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকা চূড়ান্ত আদালত অবমাননার শামিল। তাই আদালতের রায় অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত।
ড. হাছান বলেন, হরতাল-অবরোধ বর্তমানে কৌতুকে পরিণত হয়েছে। কেননা হরতাল চলাকালে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা যায় এবং রাজধানীসহ সারা দেশে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা পরিলক্ষিত হয়।আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের উচ্চ আদালতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখায় দেশের আইন-আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা ও সম্মান আরো বৃদ্ধি পাবে।তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা গণমানুষের দাবী। কেননা পৃথিবীর কোন দেশে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল রাজনীতি করতে পারে না। জামায়াতও পারবে না।মোজাম্মেল বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বিষয়। তাই বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। তবে আদালতে বিষয়টি সুরাহা না হলে জাতীয় সংসদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।