DoinikBarta_দৈনিকবার্তা EPB

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ০৭ এপ্রিল: গত মার্চ মাসে পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২৫৯ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। গত বছরের মার্চের ২৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের তুলনায় যা ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। আর সামগ্রিকভাবে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তিন শতাংশের মতো। তবে এ আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পাঁচ শতাংশ কম।রফতানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।সামগ্রিকভাবে জুলাই-মার্চ সময়ে নয় মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ২৯০ কোটি ৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বিগত বছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২২৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার।ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, বরাবরের মতো সর্বশেষ নয় মাসের আয়ের বড় অংশ এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এ সময় পোশাক খাতের ওভেন থেকে ৯৫৫ কোটি ডলার এবং নিট পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৯০৭ কোটি ডলার। নিটওয়্যার ও ওভেন দু’টি পণ্যের ক্ষেত্রে বিগত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে।

সামগ্রিক রফতানি আয় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী বাসসকে বলেন, ২০১৩ সালের সহিংস রাজনৈতিক পরি¯ি’তি এবং বিগত ৩ মাসের লাগাতার হরতাল-অবরোধ রফতানি আয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ২০১৩ সালে যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এসব কারণে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কম এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অর্জন করা সম্ভব হয়নি।তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে ইতোমধ্যে বহির্বিশ্বে আমাদের সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে। এসব কারনে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক অ¯ি’রতা না থাকলে এ সময় রফতানি আয় আরো বাড়ার কথা ছিল। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও কঠিন হতো না বলে তিনি মনে করেন।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-মার্চ সময়ে নিটওয়্যার খাতে ৯৬০ কোটি ৫১ লাখ ডলারের বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৯০৭ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে গত অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর ওভেন পোশাক পণ্য রফতানি হয়েছে ৯৫৫ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম, তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে হিমায়িত পণ্য রফতানি হয়েছে ৪৬ কোটি ২৫ লাখ ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ কম। চামড়া পণ্য রফতানি হয়েছে ১৭ কোটি ডলারের। অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে ৬৫ কোটি ২৮ লাখ ডলারের।