দৈনিকবার্তা-ভোলা, ৭ এপ্রিল: ভোলার মনপুরার চরাঞ্চলে স্থানীয় বনবিভাগের প্রচেষ্ঠায় গড়ে উঠেছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।এই সমস্ত বনাঞ্চলের গাছ সংঘবদ্ধ চক্র কেঁটে নিয়ে উজাড় করছে প্রতিনিয়ত। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এখানকার পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র।বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে কলাতলীরচর, ঢালচর, বদনারচর, জংলারখাল, আলমনগর, লতাখালী, খাঁড়ির খাল, আনন্দ বাজার , তালতলা, সূর্যমুখী, কোড়ালিয়া, চরপিয়ল ও চরনিজামে বনবিভাগের প্রচেষ্ঠায় গড়ে উঠেছে সবুজ বেষ্ঠনী। এই সমস্ত বনাঞ্চলে হরিণ, বানর, সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসবাস করছে। গাছ কাঁটার ফলে এই সমস্ত প্রাণী আবাসভূমি হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। পরিসংখ্যানে জানা যায়, চরফ্যাসন, মনপুরা ও আলেকজেন্ডারের এই রুটে ৩৮৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। পৃথিবীর আর কোন দেশে এত পাখি দেখা যায় না। প্রতিনিয়ত এই সমস্ত বনাঞ্চলের গাছ কেঁটে ধ্বংস করায় অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এই সমস্ত বনাঞ্চলের বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে রয়েছে কাঁটা গাছের অসংখ্য গোড়া। বনাঞ্চলের পাশ দিয়ে দিনে কিংবা রাতে চলাচল করলে শুনা যায় গাছ কাঁটার ঠুকঠুক শব্ধ। স্থানীয়রা বলছেন, সংঘবদ্ধ বনদস্যুরা বনবিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদেও সাথে আতাত করে গাছ কেঁটে পাচার করছে হাতিয়ার ইট ভাটায়। এইসব বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ শিশু, মেহগনি, আকাশমনি পাচার হচ্ছে বরিশাল ও ঢাকায়। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কিছু অসাধু বনবিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের কারনে সংঘবদ্ধ চক্রটি দিনে দুপুরে গাছ কেঁটে উজাড় করছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের গাছ। তবে মনপুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের জনবল সংকটের কথা বলেন। তারা সীমিত জনবল নিয়ে সাধ্যমত চেষ্ঠা করছেন বলে তিনি জানান।