01

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ এপ্রিল: রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন বনরুপা আবাসিক প্রকল্পের মেইন গেইট সংলগ্ন মসজিদের দক্ষিন পাশে রাস্তার উপর থেকে নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া জাসাসের ৩ জনকে বোমা ও বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো বোমা তৈরীর মূল কারিগর ১। মোঃ আঃ হাসিম (২৭), খিলক্ষেত থানা জাসাস সভাপতি ২। মোঃ সেলিম চৌধুরী (৪৭) ও যুবদল কর্মী ৩। মেহেদী হাসান ওরফে সুমন ফকির (৩৪)। তাদের হেফাজত হতে ৯টি তাজা বোমা, বোমা তৈরীর সাদা পাউডার, জর্দার খালি কৌটা ৩৫ টি, স্কচেেটপ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ৯টি তাজা বোমাসহ বোমা তৈরীর মূল কারিগর মোঃ আঃ হাসিম এবং খিলক্ষেত থানার জাসাস সভাপতি মোঃ সেলিম চৌধুরী ও যুবদল কর্মী মোঃ মেহেদী হাসান @ সুমন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের খিলক্ষেত থানার সভাপতি শাহিনুর আলম মারাফত ও সাধারন সম্পাদক এস এম ফজলুল হক সহ আরও ১০/১২ জন নেতাকর্মী পালিয়ে য়ায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী যুবদল কর্মী ও বোমা তৈরীর মূল কারিগর মোঃ আঃ হাসিম জানায় যে, সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে মোঃ সেলিম চৌধুরী ও মোঃ মেহেদী হাসান ফকিরের মাধ্যমে অর্থ পেয়ে সে নিজেই বোমা তৈরীর সরঞ্জাম সংগ্রহ করত এবং নির্দেশনা মোতাবেক বিস্ফোরন ঘটায়। সে আরোও জানায়, এ পর্যন্ত ৫০০ টি বোমা তৈরী করেছে এবং ২৫০টি বোমা বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করেছে। যানবাহনে অগ্নি সংযোগ ও বোমা বিস্ফোরন করে সাধারন জনগনের জানমালের ক্ষতিসাধন করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোই তাদের উদ্দেশ্য। আসামীদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। ডিবি ডিসি (পশ্চিম) শেখ নাজমুল আলমের এর নিদের্শনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে এবং এসি মাহমুদ নাসের জনি’র নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।