দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ এপ্রিল: এন্ডি মারেকে ফাইনালে ৭-৬ (৭/৩), ৪-৬, ৬-০ গেমে পরাজিত করে পঞ্চমবারের মত মায়ামি মাস্টার্সের শিরোপা জিতেছেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা নোভাক জকোভিচ।এই জয়ের মাধ্যমে সার্বিয়ান তারকা জকোভিচ মারের বিপক্ষেক্ষজয়ের রেকর্ড ১৮-৮এ নিয়ে গেলেন। চলতি বছর হার্ডকোর্ট টুর্নামেন্টে এটা মারের বিপক্ষে জকোভিচের তৃতীয় সাফল্য। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে এবং ইন্ডিয়ান ওয়েলসের সেমিফাইনালে স্কটিশ তারকাকে পরাজিত করেছিলেন বিশ্বের শীর্ষ তারকা জকোভিচ। ম্যাচ শেষে জকো বলেছেন, এবারের মৌসুমে আমার শুরুটা ততটা ভাল হয়নি। তারপরেও আমি তিনটি বড় শিরোপা জয় করেছি। আশা করছি আসন্ন ক্লে কোর্ট টুর্ণামেন্টগুলোতে এই ধারা বজায় রাখতে পারবো। এটা সত্যিকার অর্থেই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ ওপেন টুর্নামেন্ট।
২০১১ ও ২০১৪ সালের এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত একই বছরে ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মায়ামি মাস্টার্সের শিরোপা জেতা প্রথম খেলোয়াড় জকোভিচ। এর মাধ্যমে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা আরো পাকাপোক্ত হলো। র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছেন যথাক্রমে সুইস তারকা রজার ফেদেরার ও এন্ডি মারে।সর্বশেষ ২০১৩ সালের উইম্বলডন ফাইনালে স্কটিশ তারকা মারে ফাইনালে জকোভিচকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন। ফাইনালের শুরুটাও তার দূর্দান্ত হয়েছিল। প্রথম আট গেমে উভয় চারবার করে ব্রেক পয়েন্টের সুযোগ নষ্ট করেছেন। এজন্য মূলত কন্ডিশনকে দায়ী করেছেন জকোভিচ। তিনি বলেন, এই ধরনের কন্ডিশন দুজনের জন্যই কঠিন ছিল। উভয় মানসিকভাবে শক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে কার্যত বেশ কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বেশ কয়েকবার লম্বা র্যালি করতে হয়েছে। ম্যাচটা মাঝে মাঝে সহজ মনে হলেও প্রতিপক্ষের কারনে তা শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেনি।
কঠিন লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় প্রথম সেটটি টাইব্রেকারে গড়ায়। জকোভিচ যদিও দ্রুত ৪-০ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে সেট নিজের করে নেবার লড়াইয়ে এগিয়ে যান। ডাবল ফল্ট সত্ত্বেও জকোভিচ ৭/৩ এ সেটের নিষ্পত্তি করেন। দ্বিতীয় সেটে শেষ গেমে জকোভিচের বিপক্ষে ব্রেক পয়েন্ট আদায় করে নেন মারে। জকোভিচের ডাবল ফল্টের সুবাদে সেট পয়েন্ট অর্জণ করে তৃতীয় সেট খেলতে বাধ্য করেন বৃটিশ তারকা। হতাশ জকোভিচ যেন হঠাৎ করেই নিজেকে ফিরে পান। তৃতীয় সেটে মারেকে তিনি দাঁড়াতেই দেননি। নিজের সব শক্তি যেন তৃতীয় সেটের জন্যই ধরে রেখেছিলেন। ষষ্ঠ গেমে মারে একটি ব্রেক পয়েন্টের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। অবশেষে দুই ঘন্টা ৪৬ মিনিটের লড়াই শেষে শেষ হাসি হাসেন জকোভিচই।