DoinikBarta_দৈনিকবার্তা Pic-1-21-01-13

দৈনিকবার্তা- মাদারীপুর, ০৬ এপ্রিল: শেষ হচ্ছে জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। অথচ মৎস্য বিভাগের নাকের ডগায় মাদারীপুর জেলার পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে জাটকা ধরা হচ্ছে এবং জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ জাটকা আহরণ ও বিক্রি করছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মৎস্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীর কারণে জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ বাস্তবায়ন না হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মনিটরিংয়ের অভাবের অভিযোগ রয়েছে মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ঘটা করে ০১ এপ্রিল জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’র উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আড়িয়াল খঁ নদীতে একটি নৌ-র‌্যালিও করা হয়। কিন্তু থামছে না নদীতে জাটকা নিধন ও বিক্রি। মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীতে জাটকা ধরা হচ্ছে এবং তা হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। শহরের পুরান বাজার, ইটেরপুল, চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, রাজৈর, টেকেরহাট, কবিরাজপুর, কদমবাড়ি, শ্রীনদী, শিবচর, পাচ্চর, উৎরাইল, কাওড়াকান্দি, চান্দেরচর, নিলখী, কালকিনি, ভূরঘাটা, গোপালপুর, ঝুরগাঁও, খাশেরহাট, সাহেবরামপুর, ডাসার, শশীকরসহ জেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে ঝুঁড়ি-ঝুঁড়ি জাটকা বিক্রি হচ্ছে।

আড়ৎগুলোতে প্রতিদিন ভোর রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। এ ছাড়াও প্রতিদিন সকাল-বিকাল মাদারীপুর শহরের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র পুরান বাজার মাছের আড়তে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ, মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কারো চোখে পড়ছে না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গোপনে জেলে নৌকা ও আড়ৎ থেকে জাটকা ক্রয় করে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে। এ ছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসব জাটকা চাঁদপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলার, নসিমন, মিনিট্রাকে করে মাদারীপুর শহরে নিয়ে আসছে। মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২/৪ টি চালান ধরা পড়লেও সিংহভাগ থাকছে অধরা। যে কারণে জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ বাস্তবায়ন না হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা মৎস অফিসের সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা জিয়া হায়দার চৌধুরী ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ১ এপ্রিল জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’র উদ্বোধন করা হয়েছে এবং আড়িয়াল খঁ নদীতে একটি নৌ-র‌্যালিও করা হয়েছে। আমরা জাটকা ধরা ও বিক্রি বন্ধে বিভিন্ন ধরণের কর্মসুচি অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দোষীদের সাজা দিচ্ছি। তবে জনবল সংকটের কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।