দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ এপ্রিল: বাড়ি ফেরার একদিন পর সোমবার বিকেলে বাইরে বের হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিকেল পৌনে ৬টায় তিনি বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন তিনি।এর আগে ৫টা ৩৯ মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। তবে এর আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বনানী কবরস্থানে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। ৫টা ৪৮ মিনিটে সেখানে পৌঁছানোর পর নেতাকর্মীদের হট্টগোলের কারণে কমপক্ষে সাত মিনিট তাকে গাড়িতেই বসে থাকতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে ছেলের কবরের দিকে যান। এসময় তাকে বারবার চোখ মুছতে দেখা যায়।এরপর ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ছাড়াও কোরআন তেলাওয়াত করেন খালেদা জিয়া।কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আরাফাত রহমানরে স্ত্রী শর্মিলী রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ফাতেহা ও দরুদ পাঠ করে মুনাজাত করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে নেতাকর্মীরাও হাত তুলে মুনাজাত করেন। এখন সেখাসে বসেই কোরআন তেলওয়াত করছেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফাসহ আত্মীয়-স্বজন এবং দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কবর জিয়ারত ও মুনাজাতের সময় কয়েকটি বেসরকারি টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলেও এতে ক্যামেরা পারসনদের মধ্যে হট্টগোল বেঁধে যাওয়ায় পরে তা বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়। তখন ক্যামেরা পারসনরা সেখান থেকে সরে যান।উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৯২ দিন রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানের পর রোববার বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া। এদিন দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।
গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।এরপর ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী কবরস্থানে কোকোর দাফনের সময়ও নিজের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হননি তিনি।তবে দাফনের আগে কোকোর মরদেহ গুলশানের কার্যালয়ে নেওয়া হলে সেখানেই ছেলেকে শেষবারের মতো বিদায় জানান বিএনপি প্রধান।৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুলশানের ওই কার্যালয়ে অবস্থান করেন খালেদা জিয়া। এরমধ্যে দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।এরপর টানা তিনমাস ওই কার্যালয়ে অবস্থানের পর রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।জামিন পাওয়ার পর সেখান থেকে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে না গিয়ে সরাসরি ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় ফিরেন খালেদা। আর এর