দৈনিকবার্তা_DoinikBarta_5157

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ এপ্রিল: মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতা মেয়র প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টু। রোববার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন মিন্টুর আইনজীবীরা।রিট আবেদনে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করে মিন্টুর প্রার্থিতা বহালের আবেদন জানানো হয়েছে। রিটের শুনানি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।মিন্টুর আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন,সোমবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে। রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সরকার সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

আপিল করেও মনোনয়ন ফিরে নাপেয়ে এবার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, যিনি ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে লড়তে চেয়েছিলেন। মিন্টুর আইনজীবীরা রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেন। এতে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হিসাবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নাম রয়েছে।তিনি বলেন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদনটির উপস্থাপন করা হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।

মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুলও চেয়েছেন মিন্টু। সেইসঙ্গে ওই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করে মিন্টুর মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিষয়ে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এতে বিবাদী করা হয়েছে।আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিন্টু। কিন্তু তাতে সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরকারী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোটার না হওয়ায় প্রার্থিতার আবেদন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম।ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন বিএনপি নেতা। শনিবার শুনানি করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমানও আপিল খারিজ করেন।নির্বাচনী আপিলের এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে শনিবারই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মিন্টুর আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন।