দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ এপ্রিল: আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় বাজাটের আকার ২ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।তিনি বলেন, দেয়ার ইজ নো কালো টাকা ইন দিস বাজেট’। গত বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা ছিল, এবার সেটি থাকছে না। তবে আসছে আগামী বাজেট ২ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে। রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ আভাস দেন তিনি। এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, এবারের বাজেটে কোনো প্রকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা সচিব শফিকুল আজম, আইএমডি সচিব শহিদউল্লা খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান প্রমুখ।
মুহিত বলেন, চলতি অর্থবছরে আমাদের হাতে আরো কিছু সময় আছে। সে বিবেচনায় ডিসেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ ভাগ।প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়েক সেন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শ্লথ গতি দেখা যাচ্ছে, এটি রোধ করতে হবে। দেশের পাবলিক সেবা খাতকে আরো উন্নত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ব্যতিত অন্যান্য মন্ত্রীরা যেন পাবলিক খাতগুলো পরিদর্শন করেন তাহলে সেবা খাতগুলো আরো গতি ফিরে পাবে।
তিনি বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধির গতি বাড়াতে হবে। দরকার হলে সম্পদের ওপর সারচার্জ বাড়াতে হবে। বাজেটে যেন খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে আরো গুরুত্বারোপ করা হয় সেই বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, লোন মার্কেট ভালো নড়বড়ে অবস্থায় আছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাজেটে যাতে করে কালো টাকা না থাকে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে।সভায় পদ্মাসেতু, কৃষিখাত, পাবলিক খাত, এমআরটিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাজেটে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন অর্থনীতিবিদরা।আগামী বাজেট তিন লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আমাদের হাতে আরও কিছু সময় আছে। সে বিবেচনায় ডিসেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ ভাগ।তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা আরও ভালো হতো। কিন্তু তিন মাস ধরে বাংলাদেশ ঝামেলার মধ্যে আছে।২০১৫-১৬ অর্থবছরে নতুন বাজেটের আকার তিন লাখ কোটি টাকা হতে পারে বলে আভাস দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মোবাইলে ১ শতাংশ হারে যে অতিরিক্ত সারচার্জ আদায় হবে তা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হবে।বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (পিআরআই), ইকোনমিক রিসার্চ গ্র“প (ইআরজি), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এবং এবং সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষকদের সঙ্গে বৈঠকে মুহিত আরও বলেন, মোবাইল বর্ধিত সারচার্জের একটি টাকাও অন্যখাতে যাবে না। সব টাকা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাজেটে ব্যয় হবে।
বিআইডিএস গবেষক নাজনিন আক্তার বলেন, আরএমজি খাত, ট্যুরিজম, ফার্নিচার, ফার্মাসিউটিক্যাল খাত নিয়ে আমাদের এখনই ভাবতে হবে। কারণ ২০২১ সালে এই খাত আরও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে যাবে।তিনি আরও বলেন, ১ ভাগ হারে মোবাইলের সারচার্জের টাকা সুনির্দিষ্টভাবে কোন খাতে কিভাবে ব্যয় হবে। এই বিষয়টি আমাদের পরিষ্কার করতে হবে। আমরা যতটুকু জানি এই টাকা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হবে। কিন্তু কিভাবে ব্যয় করা হবে সেই বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। এর পরেই অর্থমন্ত্রী বৈঠকে বিষয়টি পরিষ্কার করেন।