দৈনিকবার্তা_DoinikBarta_Khaleda-House

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ এপ্রিল: আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর গুলাশান-২ এ ৭৯ সড়কের ১ নম্বর তার ভাড়া বাসায় (ফিরোজা) ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটের দিকে তিনি গাড়িতে করে তার বাসায় ফিরেন।গুলশানস্থ দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে টানা ৯২ দিন অবস্থান করে নিজ বাসায় ফিরলেন তিনি।এসময় বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন। এছাড়া সাঈদ ইস্কান্দরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা আগে থেকেই খালেদা জিয়ার বাস ভবনে ছিলেন।এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুম গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান রয়েছেন।

গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দুদিন আগে অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ৫ জানুয়ারি বিকেলেও বের হওয়ার চেষ্টা করে বাধা পান তিনি। সেই থেকে গত তিনমাস খালেদা জিয়া তার কার্যালয়েই অবস্থান করেন।কখনো অবরুদ্ধ আবার কখনো স্বেচ্ছায় কার্যালয়ের দোতলার ছোট পরিসরে ৯২ দিন ধরে অবস্থান করেন তিনি। রোববার সকাল ১০টার দিকে খালেদা জিয়া কার্যালয় থেকে বের হন।এদিকে কার্যালয়ে অবস্থানের এ দীর্ঘ সময়ে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এমনকি প্রিয় সন্তানের মৃত্যু সংবাদও শোনতে হয়েছে। একদিকে আন্দোলন অন্যদিকে প্রিয় সন্তানের মৃত্যু। তারপরও কার্যালয় ত্যাগ করেননি। সন্তানের মরদেহ দেখা ছাড়া দোতলা থেকেই নামেননি খালেদা জিয়া।আন্দোলনের স্বার্থে কার্যালয়ে অবস্থান করায় প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত, ২১ ে ফেব্র“য়ারি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাননি তিনি।প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি গুলাশান-২ এ ৭৯ নম্বর রোডের তার এই ভাড়া বাসা থেকে বেরিয়ে ৮৬ নম্বর রোডের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

রোববার আদালতে গিয়ে দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন নিয়ে ফিরে গেছেন গুলশানের বাসায়। গত ৩ জানুয়ারি ওই বাসা থেকে বেরিয়ে কার্যালয়ে ঢুকেছিলেন তিনি।দশম সংসদের বছর পূর্তির দিন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ৩ জানুয়ারি রাতে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশের বাধা পেয়েছিলেন তিনি।এরপর তাকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলে পুলিশ। কিছুদিন পর কার্যালয় ঘিরে পুলিশ বেষ্টনি সরানো হলেও বের হওয়ার চেষ্টা আর করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন।৯১ দিন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অবস্থানের মধ্যে ঘটেছে নানা ঘটনা। লাগাতার অবরোধ আহ্বান, আরাফাত রহমান কোকোর লাশ আসা, বন্ধ দুয়ার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা, কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বন্ধ, খাবার নিতে বাধাসহ নানা ঘটনা এই তিন মাসে দেখেছে দেশবাসী।খালেদার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর পর দেখে নেওয়া যাক গত তিন মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো-৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়।

৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে যান খালেদা জিয়া। ওই দিন নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। এর আগেই সেখানে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খালেদা গভীর রাতে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পিকআপ ভ্যান নিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খালেদা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন- গণমাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হতে থাকে। রাতে পুলিশ নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশি শেষে তালা ঝুলিয়ে দেয়, তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয় রিজভীকে।৪ জানুয়ারি কার্যালয়ে খালেদাকে অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে উত্তেজনা, সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর করা হয় অনেক গাড়ি।৫ জানুয়ারির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশ সারাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় চালায়। ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করে পুলিশ।খালেদার কার্যালয়ের চারপাশে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। সাদা এবং পোশাকধারীর পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় র‌্যাব। ৮৬ নম্বর সড়কের দুই মাথায় তল্লাশি চৌকি বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মধ্যরাতে ওই সড়কে ইট-বালুভর্তি ছয়টি ট্রাক রেখে আগলে দেওয়া হয় পথ।এদিন বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া জানান, তারা কর্মসূচি পালনে অনড়, তাদের কর্মসূচি অন।৫ জানুয়ারি দুপুরের পর বের হওয়ার চেষ্টা করেন খালেদা জিয়া। কিন্ত এর আগেই ফটকে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ।বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব লরি, একটি পিকভ্যান, জলকামান ও সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয়। কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে ১১টিতে দাঁড়ায়।

খালেদা জিয়া বেরিয়ে গাড়িতে উঠে ফটকের বাইরে বের হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। এক পর্যায়ে খালেদার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা ফটক ধরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে পুলিশ পেপার ¯েপ্র ছোড়ে।পরে গাড়ি থেকে নেমে বিএনপি চেয়ারপারসন সাংবাদিকদের সামনে এসে সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেন। পুলিশের পেপার স্প্রের ঝাঁঝে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে পরদিন খবর শোনা যায়।৮ জানুয়ারি অবরুদ্ধ খালেদার সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ফোনালাপ হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। যদিও পরে অমিত শাহ এর সত্যতা নাকচ করে দেন। এদিন কার্যালয়ের ফটকের তারা খোলা হলেও রাতে আবার লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন গ্রেপ্তার হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী।১১ জানুয়ারি কার্যালয়ে বসেই বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন খালেদা জিয়া। রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরদিন আটক হন দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।এদিন গুলশান থেকেই দলের যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে আটক করা হয়।

১৩ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে হামলার শিকার হন তার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান। দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন তিনি। ওই রাতেই ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকে বিএনপি।১৯ জানুয়ারি কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া। তার আগের দিন পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়।

২৪ জানুয়ারি স্বামী রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর সবচেয়ে কাছের একজন মানুষকে হারান এদিন। মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছরের সাজা নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যান হৃদরোগে।এর মধ্যে কার্যালয় ঘিরে পুলিশের পাহারা শিথিল হয়। কোকোর মৃত্যুর খবরে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে ওই কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ভেতর থেকে ফটক বন্ধ থাকায় ফিরে আসেন তিনি।২৭ জানুয়ারি কোকোর লাশ গুলশান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া চোখের জলে প্রিয় সন্তানকে শেষ বিদায় দেন এখান থেকেই।

৩১ জানুয়ারি রাতে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে বিচ্ছিন্ন করা হয় কেবল টিভি, ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও বিঘ্নিত হয়। প্রায় ২০ ঘণ্টা পর কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও অন্য সব সেবা বিচ্ছিন্ন থাকে। ফেব্র“য়ারিতে অবরোধের সঙ্গে যুক্ত হয় হরতাল। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই ভাগে ভাগে হরতালের ডাক দেওয়া হয়।৮ ফেব্র“য়ারি কার্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়াতে বিএনপির উদ্যোগে চারপাশের দেয়ালের ওপরে লাগানো হয় কাঁটাতারের বেড়া।১১ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবস্থান করা অন্যদের জন্য আনা খাবার ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। এদিন বিকালে খালেদার সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট গিবসন বৈঠক করেন। ৩৯ দিন পর কার্যালয়ের প্রধান ফটক খোলা হয়।১৭ ফেব্র“য়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।

২১ ফেব্র“য়ারি রাজনীতিতে আসার পর এবারই প্রথমবারের মতো ভাষা শহীদদের প্রতি ম্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাননি বিএনপিনেত্রী।এ নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হয় তাকে।২৫ ফেব্র“য়ারিকার্যালয়ে অবস্থান করার মধ্যেই সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলার তারিখে হাজির না হওয়ায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।১ মার্চ পুলিশ খালেদার কার্যালয়ে তল্লাসি চালাতে আদালতের অনুমতি নেয়; যদিও পরে তা করা হয়নি।৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ বিদেশি কূটনীতিকদের একটি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে।

৪ মার্চ খালেদার আইনজীবীদের করা একটি আবেদনের শুনানি করে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখে। ৫ মার্চ দুর্নীতির দুই মামলায় বিচারক পরিবর্তন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিতে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয় আদালত।৯ মার্চ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়ে ১০ মার্চ হরতাল ১২ ঘণ্টার জন্য শিথিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এই ঘোষণা আসে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের মাধ্যমে।১০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তার দুই আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও নিতাই রায় চৌধুরী।১১ মার্চ অজ্ঞাত স্থানে থেকে বিবৃতি দেওয়া বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আটক করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। যদিও কোনো বাহিনীই তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেনি। সালাহউদ্দিনের সন্ধান এখনো মেলেনি।

এদিন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিলে আবেদনে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চে ‘অনাস্থা’ জানান খালেদা জিয়া।১২ মার্চ দুর্নীতির দুই মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে করা খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি ফের পেছানো হয়। ১৩ মার্চ টানা অবরোধের ৬৭তম দিনে গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিনেত্রী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।১৫ মার্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদনের রায় আবার পিছিয়ে যায়।

১৬ মার্চ খনি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামিকে ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।১৭ মার্চ রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে খালেদার সঙ্গে দেখা করেন নিখোঁজ বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।২২ মার্চ ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় খালেদা জিয়াকে বিবাদী করার পর তার ঠিকানায় আদালতের সমন পাঠানো হয়। খালেদার সঙ্গে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও এ মামলায় বিবাদী।

২৬ মার্চ ভাষাশহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার পর স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধেও যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।তার পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও আবদুল মঈন খানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা শ’খানেক কর্মীকে নিয়ে সাভারে শহীদবেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।৩১ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে বের করার সময় বেসরকারি টিভি স্টেশন সময় টেলিভিশনের সম্প্রচার সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ।এদিন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ আবার দেখা করেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে।২, ৪ এপ্রিল দলের নেতা ও আইনজীবীরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন বলে ইঙ্গিত দেন। ৫ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টার দিকে কার্যালয় থেকে বের হন খালেদাসহ ভেতরে থাকা সবাই।খালেদা যান বকসীবাজারে অস্থায়ী আদালতে। জামিন নিয়ে বেলা সোয়া ১২টায় বাসায় ফেরেন তিনি।