দৈনিকবার্তা_DoinikBarta_Lalmonirhat_Sitmohol__498986552

দৈনিকবার্তা-লালমনিরহাট, ২ এপ্রিল: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সাথে কথা না হলেও তার আশ্বাসে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন ছিটমহলবাসী। গত মঙ্গলবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা দহগ্রামের তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ সময় ছিটমহলবাসী মন্ত্রীর সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও দাবি আদায়ের নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন তারা। বুধবার রাতে এমন তথ্য জানান ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমম্বয় কমিটির লালমনিরহাট ইউনিটের সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইসলাম।

আজিজুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালের ৬ সেপ্টম্বর ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পরবর্তিতে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজি বাংলাদেশ সফরে এসে ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়নের অনেক আশ্বাস দিয়েছেন। এরই ধারা বাহিকতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের আঙ্গোরপোতা দহগ্রামে সফর। গত মঙ্গলবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শনের এসে সাংবাদিকদের কাছে ব্যক্ত করা প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে মুক্তির আশায় বুক বাঁধেন আপন ভুখন্ডে বাস করা ভিনদেশীরা। আশার মাঝে সংশ্বয় রয়েছে উল্লেখ করে আজিজুল ইসলাম বলেন, এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ১০ হাজার একর জমি বেশী পাবে এ অজুহাতে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে।

নিন্দুকরা যাই বলুক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক হলে তাদের ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন স্বার্থক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভুমি কে কম বা বেশী পেল তা বিবেচ্ছ বিষয় নয় বলে ১৯৭৪ সালে ইন্দ্রা-মুজিব চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও ১৯৭৪ সালে তিনবিঘা করিডোরের বিনিময়ে বেরুবাড়ি ভারতকে ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে কে কম বা বেশী পেল তা না দেখে ইন্দ্র-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন তাদের সময়ের দাবি। ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমম্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক। এরই ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর। এটা ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে আরো একধাপ এগিয়ে গেল এবং আশার আলো ছড়াল ছিটমহলে।