দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ এপ্রিল: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বীমা ব্যবসার উন্নয়নে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।তিনি বলেন, বীমা ব্যবসা পরিচালনায় ভাল আইন-কানুন করা হয়েছে। এ খাতে ব্যাপক সংস্কারও আনা হয়েছে। এখন বীমা ব্যবসার উন্নয়নে এ শিল্পে কর্মরতদের দক্ষতা বাড়ানোর দরকার ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।ইডরার চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবীর হোসেন, সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. সোহরাবউদ্দিন, জীবন বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান এম শামসুল আলম, আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান নাসির এ চৌধুরী, ইডরার সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বীমা ব্যক্তিদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে বীমা একাডেমীকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এই প্রতিষ্ঠানটি নতুন কলেবরে যাত্রা শুরু করবে।দেশে অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধিতে বীমার অপিরসীম গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, দেশে বীমার গুরুত্ব অনবরত বাড়ছে। জীবন-যাপন যত বেশী আধুনিক হচ্ছে, তত বেশী ঝুঁকি বাড়ছে। এ কারনে বীমার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।জাতীয় বীমা আইনের অধীনে ইডরা গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,অনিয়ম ও ফাঁকিবাজি রোধ করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বীমা ব্যবসা পরিচালনায় ইডরা গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১৩টি ভাল গাইডলাইন বা নীতিমালা পাস করেছে। যার আলোকে বীমা ব্যবসা সুচারুভাবে চলতে পারে।
তিনি বলেন, গত ৬ বছরে আর্থিক খাতের দু’টি ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার আনা হয়েছে। একটি হলো বীমা খাত, অপরটি পুঁজিবাজার। আগে পুঁজিবাজার কোন নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে চলতো না। এখন সেখানে নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বীমা খাতের অনিয়ম রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ব্যাপকহারে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। বীমা খাতেও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সুযোগ আছে। এতে অনিয়ম কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বলেন, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডরার সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় শীগ্রই ‘ইডরা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তা পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।তিনি আরো জানান, অর্থ মন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত নাম হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।পরে অর্থমন্ত্রী কেক কেটে নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।