দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ এপ্রিল: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাড়া না দিলে দুই নেত্রীকে বাংলাদেশের জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে৷বৃহস্পতিবার মজুলম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে অবস্থান শুরু করার প্রারম্ভে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান কালে তিনি একথা বলেন৷ উল্লেখ্য, শান্তির দাবিতে মতিঝিলের ফুটপাতে টানা ৬৪ দিন অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচির ৬৫তম দিন পালন করেন৷বৃহস্পতিবার সকালে মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অবস্থান তুলে সন্তোষের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি৷
তিনি বলেন,কেউ হরতাল-অবরোধ না মানলেও বিএনপি নেত্রী প্রায় তিন মাস যাবত অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ যার ফলে এদেশের কৃষক, শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি পড়েছে৷অন্যদিকে দেশের মানুষকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব যার, সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানুষের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন৷ আহত মানুষের সামনে গিয়ে কান্নাকাটি করে দায় থেকে শেখ হাসিনা রেহাই পাবেন না৷
তিনি আরো বলেন, কোন বাড়িতে চুরি হলে সবার আগে পাহারাদারকে জবাব দিতে হয়, তেমনি পেট্রলবোমা যেই মারুক জবাব সরকারকেই দিতে হবে৷বঙ্গবীর বলেন, ভাসানী হুজুরের পবিত্র মাজার প্রাঙ্গণ থেকে আবারও আলোচনায় বসতে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করতে দুই নেত্রীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি৷তারা যদি এরপরও কর্ণপাত না করেন তাহলে এদেশের মানুষই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে৷
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলাধীন চান্দরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদে তিনি জোহরের নামাজ পড়েন৷ এসময় চান্দরা এলাকার জনগণ বঙ্গবীরসহ তার সফরসঙ্গীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন৷ দলীয় নেতা-কর্মীসহ তিনি বিকেলে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে আসলে মওলানা ভাসানীর দৌহিত্র হাসরত খান ভাসানী, ভাসানী আদর্শ অনুশীলন পরিষদ ও ভাসানী একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন তাকে স্বাগত জানান৷
এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, আনিসুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি এ এইচ এম আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন্নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, যুগ্ম-আহ্বায়ক কাওছার জামান খান, শাহীনুর আলম প্রমূখ৷
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিএনপি নেত্রীকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ২৮ জানুয়ারি থেকে ফুটপাতে অবস্থান শুরু করেন৷বৃহস্পতিবার তিনি মওলানা ভাসানীর মাজারে অবস্থান করবেন, মায়ের মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী শনিবার মায়ের কবর জিয়ারত শেষে সখিপুরে অবস্থান করবেন৷ আগামী ৬ এপ্রিল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৗধে একদিন অবস্থান করে ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের লক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা করবেন৷