দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ০১ এপ্রিল: ইরি- বোরো রোপনে বৃষ্টির অভাব থাকলেও চৈত্রের কিছুটা বৃষ্টিতে কৃষকদের স্বস্তি ফিরে এসেছে। আর এ বৃষ্টি পেয়ে লকলকিয়ে বেড়ে উঠা সবুজের সমারোহে ভরে উঠেছে ইরি-বোরো ক্ষেতগুলো। বাতাসের দোলা আর আকাশের বৃষ্টি বোরোর চারাগুলো সতেজতায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখেও হাসি।এ বছর নীলফামারীর ৬টি উপজেলায় যে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে তা থেকে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ৭৮ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ২৬ হাজার ৭১ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৪ মেট্রিক টন চাল ও উফসী জাতের ৫২ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনসহ মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল।
কৃষি বিভাগ জানায়, ইরি- বোরোর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে ডোমারে ১৩ হাজার ৫৪০ হেক্টরে ৫১ হাজার ৯৯৯ মেট্রিক টন চাল, ডিমলায় ১৩ হাজার ১২০ হেক্টরে ৫৪ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন চাল, জলঢাকায় ১৩ হাজার ৯০০ হেক্টরে ৫৬ হাজার ১৫৫ মেট্রিক টন চাল, কিশোরীগঞ্জে ১০ হাজার ৭০৫ হেক্টরে ৪৪ হাজার ৭০৬ মেট্রিক টন চাল, সদরে ২২ হাজার ৩৫০ হেক্টরে৯১ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন চাল ও সৈয়দপুরে ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টরে ২৭ হাজার ৮৫ মেট্রিক চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা জানায়, ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরির সময় তীব্র শীতের কবলে পড়ে বীজতলা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পলিথিনে মুড়িয়ে এবং সেচের ব্যব¯’া করে বীজতলা রক্ষা করা হয়। ফলে মৌসুমে বীজতলার কোন সংকট দেখা দেয়নি। তবে সেচের জন্য কৃষকদের শ্যালো মেশিন বসিয়ে বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বোরো ক্ষেতগুলো লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে। নারী- পুরুষ শ্রমিকরা নিড়ানি ও রাসায়নিক সার ছিটানোর কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ইরি- বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এবারে ইরি- বোরোর বাম্পার ফলন আশা করা হ”েছ। সেলক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।