দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ০১ এপ্রিল: নীলফামারীর সর্বত্র গম কাটা- মাড়াই শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকলে থাকায় এবছর জেলার কৃষকরা গমের বাম্পার ফলন ঘরে তুলছেন। ধান, পাট ও আলু আবাদ করে ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় এবারে গম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। শতাব্দি, প্রদীপ, বিজয়, প্রতিভা, বারী গম-২৬, ২৮ বিভিন্ন জাতের উ”চ ফলনশীল জাতের গমের আবাদ করেন জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার কৃষকরা। ১শ’ ৫ দিন থেকে ১শ’ ২০ দিনের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলার সুযোগ থাকায় কৃষকগণ গম আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যেখানে প্রতিমন বোরোর উৎপাদন ব্যয় বর্তমানে ৬শ’ ৫০ টাকা সেখানে গমের মন প্রতি উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৫শ’ টাকা। অথচ বোরো ধানের বাজার দর ৬শ’ থেকে ৬শ’ ৫০ টাকা আর গমের মন ৮শ’ টাকা। পাশাপাশি বোরোর চেয়ে গম প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ কীট পতঙ্গের আক্রমন অতিরিক্ত প্রতিরোধ ক্ষম। বোরোর আবাদে লোকসানের ঝুঁকি রয়েছে যা গমের আবাদে নেই।
ভাল মুনাফার আশায় এখানকার কৃষকরা ক্রমে গমের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে গম কাটা- মাড়াই শুরু হয়েছে। এতে একর প্রতি ৩৬ থেকে ৪০ মন গম ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। নীলফামারী কৃষি বিভাগ জানায়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গম আবাদ করা হয়েছে। জেলায় মোট ৫ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৭৫ মেট্রিক টন গম। এর মধ্যে ডোমারে ৭৫০ হেক্টরে ২ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন, ডিমলায় ১ হাজার ২০০ হেক্টরে ৩ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন, জলঢাকায় ৮৬৫ হেক্টরে ৮৬২ মেট্রিক টন, সদরে ১ হাজার ৫০ হেক্টরে ৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন ও সৈয়দপুরে ২৫০ হেক্টরে ৭৭৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হবে আশা করছে কৃষি বিভাগ। মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, বিপনন সুবিধা, কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম কম হলে দিন দিন কৃষকরা গম চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।