দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ০১ এপ্রিল: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়মী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলমসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।এছাড়া আরো ৬ মেয়র প্রার্থীকে বেলা ২টার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়া সাপেক্ষে বৈধতা পাবে হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার মো.আব্দুল বাতেন।বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের মুসলিম হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বচানের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শুরু হয়।মেয়র প্রার্থীদের যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন:
বিএনপি সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী এম মনজুর আলম, আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, ইসলামিক ফ্রন্টের মজিবুল হক শুক্কুর, বিএনএফের আরিফ মঈনুদ্দীন, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন ও সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লড়তে এবার মেয়র পদে ১৩ জন, সাধারণ কাউন্সিল পদে ২৮৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাইবাছাই চলছে। এ কার্যক্রম বৃহস্পতিবারও চলবে।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিন বুধবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন এই ঘোষণা দেন।এছাড়া বিএনএফের আরিফ মঈনুদ্দীন, গাজী মো আলাউদ্দিন, ফোরকান চৌধুরী, মজিবুল হক শুক্কুর,ওয়ায়েস হোসেন ভূঁইয়াও থাকছেন ভোটের লড়াইয়ে।বাকি পাঁচ প্রার্থীকে বিকাল পাঁচটার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতেন বলেন, যাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তিও ছিল না।অন্য পাঁচজনের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ও শফিউল আলমের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ছিল না। সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেননি। এছাড়া এমএ মতিন মনোনয়নপত্রে সংযুক্ত কাগজপত্র সত্যায়িত করা হয়নি।তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারলে তা যাচাই করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান।চট্টগ্রামে এবার মেয়র পদে ১৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেন ১৩ জন।