DoinikBarta_দৈনিকবার্তা kader

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ এপ্রিল: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে এখন আর অনিশ্চয়তার সুযোগ নেই। মাটি পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজ চলতি মাসেই শেষ হবে। আগামী জুনেই মূল কাজ শুরু হবে।বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রিসার্চ উন্নয়ন অ্যাকশন প্লান শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মূল অবকাঠামো নির্মাণ হলে নগরীর উত্তর-দক্ষিণে যানবাহন চলাচলে বিকল্প সড়ক সৃষ্টি হবে। ফলে নগরবাসীর ভ্রমণ সময় কমবে এবং ভোগ্যপণ্য বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারবে।

সংযোগ সড়কসহ এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য ৩ দফায় ২২ দশমিক ১৫৫৬ একর ভূমি নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি ভূমি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৬ দশমিক ০১৯৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজের জন্য ইতোমধ্যেই ১৩৫ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের এ প্রকল্প তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপ বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় পর্যায়ে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং শেষ পর্যায়ে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে।উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি হয়। একই বছর ৪ এপ্রিল ভিত্তিস্থাপন করা হয়। তবে নকশা পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতাল থাই ডেভলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে সরকারের সেতু বিভাগ।

সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের এই প্রকল্প তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপ বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় পর্যায়ে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং শেষ পর্যায়ে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে।২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি হয়। একই বছর ৪ এপ্রিল ভিত্তিস্থাপন করা হয়।

তবে নকশা পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতাল থাই ডেভলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে সরকারের সেতু বিভাগ।গত বছর ৩০ অক্টোবর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এই প্রকল্পে অধিগ্রহণের কারণে মোট ১৫৭ জন তাদের ব্যক্তিগত জমি হারিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পের আদলে এই উড়াল সেতুর কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।এর জন্য ইতোমধ্যে ৪০ একর জমির সংস্থান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধম্যে এই প্রকল্পে এরইমধ্যে ১৩৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন।