DoinikBarta_দৈনিকবার্তা_yeamen maurdar

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ এপ্রিল: ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি দুগ্ধ খামারে গতরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে।এই নিয়ে শিয়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সপ্তম রাতের মতো বিমান হামলা চালানো হল। প্রাদেশিক গভর্নর হাসান আল-হাই বলেন, এই হামলায় আরো ৮০ জন আহত হয়েছে।বিমান হামলা নাকি বিদ্রোহীদের গোলার আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানান নি।মঙ্গলবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে। ইয়েমেনের শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা রুখতে সৌদি আরব ও সহযোগী নয়টি আরব দেশের জোটের বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর এটি অন্যতম বড় ঘটনা। হুদাইদার ওই কারখানার কাছের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সালেহর অনুগত একটি সেনা ঘাঁটির কাছে কারখানাটির অবস্থান। তবে শহরটির মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিহত ২৩ জনের সবাই ওই কারখানার কর্মী। বিমান হামলায় কারখানার কাছের একটি পেট্রল পাম্পও ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনাবাহিনীর অংশ ও হুতি বিদ্রোহীরা মিলে রাজধানী সানাসহ দেশটির বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছে। সালেহকে সরিয়ে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ক্ষমতা গ্রহণ করা আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদিকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করেছে। পরে হাদি সানা থেকে পালিয়ে দক্ষিণের বন্দর শহর এডেনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে সেনাবাহিনীর তার অনুগত অংশ ও সুন্নি বেসামরিক বাহিনীগুলো তাকে সমর্থন দিচ্ছিল। কিন্তু হুতি-সালেহর সম্মিলিত বাহিনী এডেনের দিকে অগ্রসর হলে প্রতিবেশী সৌদি আরবসহ অন্যান্য সুন্নি আরব দেশগুলোর সাহায্য কামনা করেন হাদি। তার অনুরোধে সারা দিয়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বে দশটি আরব দেশ হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। তারপরও হুতিদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে দেশত্যাগ করেন হাদি। হাদিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত বিমান হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। কিন্তু সাতদিন ধরে টানা বিমান হামলা চালিয়েও ইয়েমেনে হাদির নিয়ন্ত্রণাধীন শেষ এলাকা এডেন রক্ষা করতে পারছে না জোট বাহিনী।

এর আগে দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি উদ্বাস্তু শিবিরে হামলা চালিয়েছিল সৌদি বিমানগুলো। এতে অন্ততপক্ষে ৪০ জন নিহত হন। ওই হামলা চালিয়ে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ওদিকে নিউইয়র্কে মঙ্গলবার রাতে ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইয়েমেনে এক সপ্তার লড়াইয়ে ৬২ শিশু নিহত ও ৩০টি শিশু আহত হয়েছে।