দৈনিকবার্তা-বরগুনা, ৩১ মার্চ: বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভিটেমাটি ছাড়া ১৪টি হিন্দু পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দ্যেগে পূর্নবাসন করা হচ্ছে৷ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জাকির হোসেন ও তার ভাই আঃ সালামের সহযোগীতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী রশিদের নেতৃত্বে ১৪ পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়৷ তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে ১৪টি হিন্দু পরিবারের প্রায় ৯০ জন সদস্য বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ৷ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় ভেঙ্গে ফেলা ঘরবাড়ী পুর্ননিমর্ান কাজ শেষ হয়েছে সোমবার ৷
মঙ্গলবার বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরম্নল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের একটি টিম নির্যাতি ১৪ হিন্দু পরিবারকে পূর্নবাসনের জন্য পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামে গিয়ে তাদেরকে তাদের বাপ দাদার ভিটে বাড়ীতে উঠিয়ে দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেণ৷বসতবাড়ী ফিরে পেয়ে যাদব সরকার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন , কখনো ভাবিনি যে আবার এখানে আসতে পারবো ৷ আমরা সবাই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহ সকলের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো৷
এসময় জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম বলেন , আমরা খবর শুনেই নির্যাতিত পরিবারের সাথে যোগাগোগ করে তাদের পূর্নবাসনের ব্যাবস্থা করেছি৷ প্রতি পরিবারকে ছয় হাজার টাকাও দুইবানডিল টিন দেয়া হয়েছে ৷ এসকল পরিবারের প্রতি সার্বিক সহয়তা থাকবে তিনি আসস্থ করেন৷ বরগুনা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই প্রধান আসামী আ. রশিদ কে গ্রেফতার করেছি৷ এর সাথে অন্যান্য যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরম্নদ্ধেও ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে ৷ এখন থেকে তারা তাদের এই ভিটেমাটিতেই বসবাস করবে কেউ যদি তাদেরকে নির্যাতনের চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে ৷ তাদের সার্বিক নিরাপত্তাও দেয়া হবে বলে তিনি জানান৷
উল্লেখ্য, বরগুনা জেলা যুবলীগের সহসভাপতি পরিচয়দানকারী জাকির হোসেন সরদার ও তাঁর ভাই আবদুস সালাম সরদার এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবদুর রশিদ ও তাদের বাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৩ সালের শুরম্নর দিকে প্রথম তিনটি পরিবার গ্রাম ছেড়ে বরগুনা শহরে আশ্রয় নেয়৷ একই কারণে ২০১৪ সালের শুরম্নর দিকে আরও দুটি পরিবার শহরে আশ্রয় নেয়৷ সর্বশেষ ১৩ মার্চ চন্দনতলা গ্রাম থেকে নয়টি পরিবার একযোগে ভিটেমাটি ত্যাগ করেন৷