আদালত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ মার্চ: রাজধানীর মিরপুর এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনিরউদ্দিন মনুকে হত্যার দায়ে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎসহ সাতজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক এবিএম নিজামুল হক আজ এ আদেশ দেয়।রায়ে আদালত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎসহ ৭ জনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলো- মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎ, মো. মিন্টু, মো. মাসুদুর রহমান তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন লোটাস ওরফে নূরুজ্জামান, মো. নোবান ইবনে বাশার ওরফে বাবু, মাসুদুর রহমান সোহেল এবং মো. হাসান সারওয়ার জিকু। রায় ঘোষণার সময় সোহেল ও জিকু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাতক বলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা জানান।এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে জাহানারা বেগম নামে এক নারী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডেরও আদেশ দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি মাহবুবুর রহমান সোহেল ও হাসান সরোয়ার জিকু আদালতে হাজির ছিলো। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাত হোসেনসহ অন্য আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট মনিরউদ্দিন মনুকে মিরপুরের বড়বাগ এলাকায় নিজ বাসার সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মনুর বড় ভাই আকবর আলী বাদী হয়ে ওই দিনই মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর মিরপুর থানার এসআই নাসির উল্লাহ আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ২৭ এপ্রিল চার্জ গঠন করা হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্কশেষে আদালত এ রায় প্রদান করে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের ৪৯/৩ শাহআলী বাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে খুন হন ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মনির উদ্দিন মনু।আসামিরা মনুকে পরপর আটটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।হত্যাকাণ্ডের দিনই নিহতের ভাই মো.আকবর আলী থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহাদাত ও মিন্টু মিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২৭ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত এ রায় দিল।