Barkak-Ullah-Bulu_20-Dal3

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ মার্চ: আসন্ন সিটি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের বেলায় সুষ্ঠু আচরণবিধি পালনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কিঞ্চিত সুযোগও দেয়া হচ্ছেনা। পাশাপাশি সরকার কর্তৃক বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করছে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের নির্বিঘ্নে চলাচল ও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তাব্যক্তিদের কঠোর হুঁশিয়ারী নির্বাচনী পরিবেশকে আরো বেশী মাত্রায় পক্ষপাতদুষ্ট ও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ২০ দলের মুখপাত্র বরকত উল্লাহ বুলু। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলে এসেছি-বর্তমান অবৈধ ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের নিকট কখনোই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায়না।

আর এ কারণেই ২০ দলীয় জোট জনগণকে সাথে নিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।২০ দলের এই মুখপাত্র বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি দেশের সরকার ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এদেশের স্বাধীনতার বীজ বপনে গোপন ব্যালটে ভোট প্রদানের মাধ্যমেই বাংলার জনগণ ভুমিকা রেখেছিল।পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গোপন ব্যালটে অবাধ ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থায় ভোট প্রদানের দ্বারা রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে থাকে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, কিন্তু বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে আজ নাগরিকের ভোট দেয়ার অধিকার হারিয়ে গেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই ভোটাধিকার হরণের দস্যুতা আরো প্রকট হয়েছে।তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি দেশের সরকার ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এদেশের স্বাধীনতার বীজ বপনে গোপন ব্যালটে ভোট প্রদানের মাধ্যমেই বাংলার জনগণ ভুমিকা রেখেছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গোপন ব্যালটে অবাধ ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থায় ভোট প্রদানের দ্বারা রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে আজ নাগরিকের ভোট দেয়ার অধিকার হারিয়ে গেছে।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই ভোটাধিকার হরণের দস্যুতা আরো প্রকট হয়েছে। ৫ জানুয়ারীর পরে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে জাতি সেই ভোট ডাকাতির দৃশ্যই অবলোকন করেছে। আমরা বহুবার বলে এসেছি-বর্তমান অবৈধ ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের নিকট কখনোই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায়না। আর এ কারণেই ২০ দলীয় জোট জনগণকে সাথে নিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তারা নাগরিকের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে অবৈধ পন্থায় জোর করে দেশ শাসন ও ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদী করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারে না তার আরো একটি নজীর মিলল গতকাল ফরিদপুর ও চাঁদপুরের পৌর নির্বাচনে। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং প্রকাশ্যে সীল মেরে ভোট জালিয়াতির মহৌৎসব চালিয়েছে। জাতি আবারো প্রত্যক্ষ করলো-কিভাবে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোট জালিয়াতি ও ভোটাধিকার কেড়ে নিতে পারঙ্গম এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বীরত্ব দেখাতে সক্ষম।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ঢাকার বিভক্ত দুই সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করলেও এখনও পর্যন্ত তার সুষ্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেনা। বরং প্রকাশ্যে নির্বাচনী সকল আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা অত্যন্ত দাপটের সাথে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বিরোধী প্রার্থীদের বেলায় সুষ্ঠু আচরণবিধি পালনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কিঞ্চিত সুযোগও দেয়া হচ্ছেনা। পাশাপাশি সরকার কর্তৃক বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী এবং বিরোধী নেতা-কর্মীদের নির্বিঘেœ চলাচল ও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তাব্যক্তিদের কঠোর হুঁশিয়ারী নির্বাচনী পরিবেশকে আরো বেশী মাত্রায় পক্ষপাতদুষ্ট ও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।

তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট ও দেশবাসী আশা করে-আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আর তা না হলে জাতির নিকট আবারো প্রমান হয়ে যাবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দন্তহীন বাঘ ছাড়া আর কিছুই নয়। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দস্যুবৃত্তি অবলম্বন করলে এবং এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা করলে জাতি কখনোই বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমা করবে না।বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক ও নিয়ন্ত্রণহীন হলে একজন সাবেক আমলার লাশ ধানমন্ডী লেক থেকে পাওয়া যায় তা সহজেই অনুমেয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- গোটা দেশটাই যেন লাশের বধ্যভুমিতে পরিণত হয়েছে।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিএনপি’র অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ অপহরণের আজ ২০ দিন অতিক্রান্ত হলো অথচ এখনও পর্যন্ত তার কোনো হদিস সরকার কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিচ্ছেনা। সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ গুমকৃত সকল বিরোধী নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় ফেরত দান, ২০ দলীয় জোটের কারান্তরীণ শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং মামলা হামলা বন্ধ করে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে ২৮ এপ্রিল ২০১৫ অনুষ্ঠিতব্য তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকার সচেষ্ট হবে এবং গণদাবী মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই জাতির প্রত্যাশা বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।