দৈনিকবার্তা-ভোলা, ৩০ মার্চ: টানা অবরোধ ও হরতালে নাশকতার আশংকায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবের কারণে দিনাজপুরের পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও ও পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রেলপথে ৮৫ দিন ধরে ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন থেকে অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারি থেকে এ ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্ধ রাখা ডেমু ট্রেন পার্বতীপুর রেলওয়ে লোকো সেডে নিরাপদে রাখা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। গত দুই মাস ধরে ডেমু ট্রেন বন্ধ থাকায় এই ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, পুলিশি তৎপরতার কারণে এ পর্যন্ত এই এলাকায় নাশকতা মূলক কোনো কর্মকান্ড সংঘটিত হয়নি। তবে নাশকতার আশংকা থাকায় অত্যাধুনিক ডেমু ট্রেন রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের নিদের্শে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ট্রেন চলাচল করলে অবশ্যই পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের মাস্টার শামসুল হক জানান, বিএনপি-জামায়াতের টানা হরতাল-অবরোধের কারণে ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও যেকোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেলওয়েতে পর্যান্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে।২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে রেলমন্ত্রি মজিবুল হক ডেমু ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এছাড়াও পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে লালমনিরহাট পযর্ন্ত অপর একটি রুটের রেলমন্ত্রি মজিবুল হক ডেমু ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁও ৯৪ কিলোমিটার রেলপথের ৫টি রেলষ্টেশন চিরিরবন্দর, দিনাজপুর, সেতাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও এ ডেমু ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করে।
এ ছাড়া পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রেলপথের ৫টি রেল স্টেশন খোলাহাটি, বদরগঞ্জ, রংপুর, কাউনিয়া ও লালমনিরহাটে ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করে। ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন ৩শ যাত্রীর ধারণ ক্ষমতার ৩টি বগীর প্রতিটি ডেমু ট্রেনে ১৪৯ জন যাত্রীর বসার ও ১৫১ যাত্রীর দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে।পার্বতীপুর থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত টিকেটের মূল্য ৩৫ টাকা এবং দিনাজপুর পর্যন্ত টিকেটের মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য রেলষ্টেশনে টিকেটের মূল্য কমিউটার ট্রেনের টিকেটের হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ট্রেন ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং নির্ধারিত আসন ও দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী যাতায়াত করছে।